দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : যুগপৎ আন্দোলনের প্রথম কর্মসূচি গণমিছিল নিয়ে আজ শুক্রবার রাজধানীতে নামছে বিএনপি ও সমমনা ৩৩ দল। বিএনপি, জামায়াত, এলডিপি ও গণতন্ত্র মঞ্চ; গণ-অধিকার পরিষদ, ১২ দলীয় জোট ও জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট পৃথকভাবে এই কর্মসূচি পালন করবে। কর্মসূচিতে বড় জমায়েতের প্রস্তুতি নিয়েছে দলগুলো। এই গণমিছিল থেকে নতুন কর্মসূচির ঘোষণা দেবে দলগুলো।
কর্মসূচি হিসেবে আগামী ১১ জানুয়ারি বিভাগীয় পর্যায়ে প্রতিবাদী গণ-অবস্থান করবে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো। দলগুলোর শীর্ষস্থানীয় নেতারা মনে করছেন, পৃথক স্থান থেকে প্রায় একই সময়ে কর্মসূচি বের হওয়ার ফলে নগরীতে বিপুলসংখ্যক মানুষের সমাগম ঘটবে। ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় নয়াপল্টনে আসবেন। ফলে পুরো নগরে কর্মসূচির আবহ তৈরি হবে।
নতুন কর্মসূচি ঠিক করতে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেই বৈঠকে পরবর্তী কর্মসূচি হিসেবে ১১ জানুয়ারি ১০ সাংগঠনিক বিভাগে সকাল-সন্ধ্যা গণ-অবস্থান কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সমমনা দলগুলোও একই কর্মসূচি পালন করবে। কর্মসূচি ঘিরে যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সে জন্য পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে থাকবে। অনুমতির বাইরে কোনো দল বা জোটকে কোথাও মিছিল করতে দেবে না পুলিশ।
গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ১০ ডিসেম্বরের মতো আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা আজও পাড়া-মহল্লায় সতর্ক অবস্থায় থাকবেন। যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশও বলেছেন, বিএনপির নৈরাজ্য প্রতিহত করতে তাঁরা মাঠে থাকবেন। ক্ষমতাসীন দল থেকে কঠোর বার্তা দেওয়া হলেও কর্মসূচি নিয়ে ১০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ঢাকার গণসমাবেশের মতো উত্তেজনা নেই। তবে কর্মসূচি ঘিরে বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে অভিযান ও গ্রেপ্তার চলছে বলে অভিযোগ করেছে দলটি।
জামায়াতের দিকে নজর থাকবে পুলিশের : বিএনপির সঙ্গে যুগপত্ভাবে জামায়াতে ইসলামী কর্মসূচি কোথায় করবে, সেদিকে বিশেষ নজর রাখবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী। পুলিশ ও র্যাবের কয়েক হাজার সদস্য মিছিলকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে দায়িত্ব পালন করবেন। কেউ যাতে গুজব ছড়াতে না পারে, সে জন্য ভার্চুয়ালজগতেও নজরদারি করা হবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর পক্ষ থেকে। পুলিশ ও র্যাব সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
ঢাবির সাবেক-বর্তমান ৬০ শিক্ষকের বিবৃতি : বিএনপির কারাবন্দি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মুক্তি দাবি জানিয়েছেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান ৬০ জন শিক্ষক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিবৃতিটি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।