নিজস্ব প্রতিনিধি : বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থায়নে সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করে শেখ হাসিনার সরকার। শনিবার ২৪ জুন শুক্রবার বাংলাদেশের স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনেক প্রতিকূলতা ও বাধা ডিঙিয়ে, আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র একক ও দুঃসাহসিক সিদ্ধান্তে পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন হয়েছে। বাংলাদেশে পদ্মা সেতুর মতো এত বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন সত্যি অবিশ্বাস্য। সরকারের ধারাবাহিকতা, সদিচ্ছা- সর্বোপরি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা থাকার কারণে পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে।
উদ্বোধনী বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন- বাংলাদেশের দীর্ঘতম এই পদ্মা সেতু নির্মাণে যারা বাধা দিয়েছিল, তাদের একটা জবাব আমরা দিয়েছি। তাদেরকে একটা উপযুক্ত জবাব আমরা পদ্মা সেতুর মধ্য দিয়ে দিতে পারলাম যে, বাংলাদেশও পারে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন- এই পদ্মা সেতু শুধু ইট-সিমেন্ট, স্টিল-লোহা-কংক্রিটের একটা অবকাঠামো নয়, এই পদ্মা সেতু আমাদের সাহস। এই পদ্মা সেতু আমাদের গর্ব, এই পদ্মা সেতু আমাদের সক্ষমতা এবং আমাদের মর্যাদার শক্তি।
শেখ হাসিনা বলেন- ২০০১ সালে আমরা পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পর খালেদা জিয়া এসে তা বন্ধ করে দিয়েছিল। আমরা ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে আবার নির্মাণ কাজ শুরু করি।
তিন বলেন- দুর্নীতি নয়, বরং মুহাম্মদ ইউনূসের তদ্বিরেই পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন থেকে বিশ্ব ব্যাংক সরে গিয়েছিল বলে মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।
তিনি আরো বলেন- কে দুর্নীতি করেছে? এই পদ্মা সেতু আমাদের প্রাণের সেতু। যে পদ্মা সেতুর সাথে আমার দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের ভাগ্য জড়িত, সেই পদ্মা সেতু করতে যেয়ে কেন দুর্নীতি হবে?
প্রধানমন্ত্রী বলেন- আজকে কীভাবে করতে পারলাম? আপনারা এই দেশের জনগণ আমাকে সমর্থন দিয়েছেন, পাশে থেকেছেন। জনগণের শক্তিই সবচেয়ে বড় শক্তি। আমি সেটাই বিশ্বাস করেছি।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন- আর আপনাদের কষ্ট করতে হবে না। এই খরস্রোতা পদ্মা নদী পার হতে যেয়ে আর কাউকে সন্তান হারাতে হবে না, বাবা-মাকে, ভাই-বোনকে হারাতে হবে না। আজকে সেখানে আপনারা নির্বিঘ্নে চলতে পারবেন। সেই ব্যবস্থা আমরা করে দিয়েছি। আমাদের প্রত্যেকটা এলাকা এত দুর্গম ছিল, আজকে সেখানে রাস্তাঘাট, পুল-ব্রিজ করেছি বলেই সব জায়গায় যোগাযোগ স্থাপন হয়েছে। বিশেষ করে দক্ষিণাঞ্চলে। এখন নিশ্চিন্তে মানুষ চলাফেরা করতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন- সারাদেশে আমরা অর্থনৈতিক অঞ্চল করছি। আজকে পদ্মা সেতু হয়েছে। এখানেও বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল হবে, শিল্পাঞ্চল হবে, কর্মসংস্থান হবে, কল-কারখানা হবে, আমাদের ফসল উৎপাদন হবে। সেই ফসল আমরা প্রক্রিয়াজাত করতে পারব। দেশে-বিদেশে রপ্তানি করতে পারব। এখানে যে মাছ হবে, তা আমরা প্রক্রিয়াজাত করে দেশে-বিদেশে পাঠাতে পারব। বাংলাদেশের মানুষের দুঃখ ঘুচে যাবে- ইনশাআল্লাহ্।