1. bazmedialink7@gmail.com : Baz Alam : Baz Alam
  2. mdkaif01133@gmail.com : md :
  3. talhanrcc2014@gmail.com : Talha : MD TALHA
  4. deshbidesh2022@gmail.com : Tuhin Ahmed : Tuhin Ahmed
নিজের টিফিনের টাকা জমিয়ে বঙ্গবন্ধু'র ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকীতে গণভোজ... - DeshBideshNews
November 24, 2024, 3:47 pm
 

নিজের টিফিনের টাকা জমিয়ে বঙ্গবন্ধু’র ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকীতে গণভোজ…

  • Update Time : Tuesday, August 16, 2022
  • 305 Time View

নিজস্ব প্রতিনিধি : মোহাম্মদ সামিউল ইসলাম খান সোহান একজন স্কুলছাত্র। তার নিজের টিফিনের টাকা জমিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকীতে মিলাদ, দোয়া মাহফিল ও গণভোজের আয়োজন করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে (ফেসবুক) ভাইরাল হয়েছে। সে পৌরশহরের হার্ডিঞ্জ সরকারি স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র ও ক্যাপ্টেন। সে পৌরশহরের বাগনগর মডেল টাউনের বাসিন্দা এসএম পারভেজ খানের কনিষ্ঠ ছেলে বলে জানা গেছে।

জানা জানায়- যখন থেকে বুঝতে শুরু করেছে তখন থেকেই সামিউল বঙ্গবন্ধুর প্রতি ভালোবাসায় উদ্বুদ্ধ হয়। এই ধারবাহিকতায় সে ফেসবুক ও ইউটিউবে ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করে। ফেসবুক ও ইউটিউবের মাধ্যমেই ভোটাভুটি করে লিডার নির্বাচিত হয়।

মাঝেমধ্যেই সে বঙ্গবন্ধু’র বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে থাকে। এরই ধারবাহিকতায় টিফিনের জন্য প্রতিদিন একশ টাকা নিত তার মা জান্নাতুল ফেরদৌসী সম্পার কাছ থেকে। স্কুল বন্ধ থাকলেও তাকে ওই টাকা দিতে হতো। কিন্তু এ টাকা খরচ না করে জমাতে থাকে বঙ্গবন্ধুর শাহাদতবার্ষিকীতে সমাজের গরিব দুঃখী মানুষকে ভূরিভোজ করাতে।

সামিউল ইসলাম খান সোহান বলেন- স্বাধীনতার সময় আমাদের জন্ম হয়নি। তবে ইতিহাস ও বড়দের কাছ থেকে জেনেছি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জীবনবাজি রেখে দেশমাতৃকাকে স্বাধীন করতে মুক্তিযুদ্ধ শুরু করেন পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে। এজন্য তাকে পাকিস্তানে কারাবরণ করতে হয়েছে। পাকিস্তান সরকার তার ওপর চালিয়েছে অবর্ণনীয় নির্যাতন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর দেশ মাতৃকাকে ঢেলে সাজানোর কোনো সময় না দিয়ে ঘাতকরা তাকে সপরিবারে খুন করে। সেই বিভীষিকাময় মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা দেশের বাইরে থাকায় তারা প্রাণে বেঁচে যান। দেশে থাকলে তাদের নৃশংসভাবে হত্যা করা হতো।

সামিউল ইসলাম খান সোহান আরো বলেন- সেদিন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণ না হলেও আজ তার যোগ্য উত্তরসূরি শেখ হাসিনার মাধ্যমে তার স্বপ্নেরই বাস্তবায়ন হচ্ছে। এজন্য হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি ও মহান নেতার প্রতি ভালোবাসায় উদ্বুদ্ধ হয়েই যত সামান্য অবদান রাখার চেষ্টা করেছি মাত্র। আর এ সবই সম্ভব হয়েছে আমার আব্বু ও আম্মুর জন্য। তাদরে সদিচ্ছা না থাকলে আমার পক্ষে এ মহৎ কাজ করা মোটেও সম্ভব হতো না।

জান্নাতুল ফেরদৌসী সম্পা বলেন- বুঝতে শেখার পর থেকেই সামিউল বঙ্গবন্ধুকে মনেপ্রাণে ভালোবাসে। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ওর অনেক লেখা রয়েছে। সামিউল কখনই ওর আব্বুর কাছে কোনো টাকা-পয়সা চায় না, যা লাগে আমার কাছ থেকেই নেয়। টিফিনের জন্য নিলেও টিফিনের টাকা জমিয়ে আজ যে কাজটি করেছে তাতে গর্বে আমার প্রাণটা শীতল হয়ে গেছে।

শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ