নিজস্ব প্রতিনিধি : বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেছেন- রমজান মাস পবিত্র মাস। এই মাস আমাদেরকে শিক্ষা দেয় আমরা যেন সংযম, ধৈর্য ও শক্তির সঙ্গে এই মাসটা অতিবাহিত করি। আত্মশুদ্ধির মাস, আত্মসমালোচনা করারও মাস এটা এবং নিজেকে বিলিয়ে দেওয়া এবং আত্মত্যাগের মাসও মাহে রমজান। আমরা প্রতি বছরই রমজান মাসে মাসব্যাপী সুবিধাবঞ্চিত ভাই-বোনদের সাথে ইফতার ভাগাভাগি করি। তাদের মাঝে ইফতার বিতরণ করি।
আজ রবিবার (৩ এপ্রিল) রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ দলীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে মাসব্যাপী অসহায় ও দুঃস্থদের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধনকালে তিনি কথাগুল বলেন।
তিনি আরও বলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও আমরা যুবলীগ বলতে চাই আমরা সবসময় নিপীড়িত, শোষিত, বঞ্চিত মানুষের সংগঠন। এই সংগঠনটি কোন ক্যান্টনমেন্ট বা সামরিক জান্তা থেকে জন্ম হয়নি। এই সংগঠনের জন্ম হয়েছে গণমানুষের কথা বলতে বলতে, মানুষের অধিকার আদায়, সংগ্রামের মাধ্যমে। সুতরাং যখনই আওয়ামী লীগের মাধ্যমে এদেশের মানুষের জীবন মান উন্নতির সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে তখনই এদেশকে নিয়ে নানামুখী ষড়যন্ত্র সৃষ্টি হয়েছে। স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি ও ষড়যন্ত্রকারি বিভিন্ন বিদেশি মহল কখনই চায় নাই এদেশের মেহনতি, দুঃখী মানুষ শান্তিতে থাকুক, ভালভাবে বেঁচে থাকুক, আত্মনির্ভরশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হোক। ভূ-রাজনৈতিক কারণে এটা কখনো তারা চায়নি। আজকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রকৃত অর্থেই পৃথিবীর বুকে একটি মর্যাদাশীল জাতি হিসেবে আর্বিভূত হয়েছে। এটা কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, এটা কোন ছোট ঘটনা নয়, আমরা দেশ হিসেবে ছোট হতে পারি। কিন্তু আমরা মর্যাদাশীল দেশ। দারিদ্রের হার যেখানে ৪০ভাগ ছিল, সেখানে হ্রাস পেয়ে ২০ শতাংশে নেমে এসেছে। আজকে মাথাপিছু আয়, নারীর ক্ষমতায়নসহ প্রতিটি সূচকে বাংলাদেশ এগিয়ে রয়েছে।
খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেছেন- রমজান মাস পবিত্র মাস। এই পবিত্র রমজান মাসে যুবলীগের প্রতিটি নেতা-কর্মী যেন সংযমের সঙ্গে কাজ করেন। মানুষের কল্যাণে কাজ করেন। আমাদের নেত্রী যেভাবে আমাদেরকে নির্দেশনা দিয়েছেন, আমরা যেন সেভাবেই কাজ করি। আপনারা লক্ষ্য রাখবেন আপনার প্রতিবেশির প্রতি, কেউ যদি কষ্টে থাকে তাকে সাহায্য করবেন। আপনারা জানেন এক ধরণের অসাধু ব্যবসায়ীরা এই রমজান উপলক্ষে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করে সাধারণ মানুষকে কষ্ট দিচ্ছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাড. মামুনুর রশীদ, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. নবী নেওয়াজ, মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার মৃনাল কান্তি জোদ্দার, তাজ উদ্দিন আহমেদ, মো. জসিম উদ্দিন মাতুব্বর, মো. আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা, সুব্রত পাল, মুহা. বদিউল আলম, মো. রফিকুল আলম জোয়ার্দার সৈকত, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সাইফুর রহমান সোহাগ- প্রমুখ।