এ ছাড়া কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের লইট্টা শুঁটকিতে ক্ষতিকর ই কোলাই ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি মিলেছে। আর কিছু অঞ্চলে গরুর দুধে সামান্য পরিমাণে অ্যামোক্সিসিলিন অ্যান্টিবায়োটিকের উপস্থিতি ধরা পড়েছে।
২০ মে শনিবার ঢাকা’র শাহবাগে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের কার্যালয়ে আয়োজিত একটি কর্মশালায় এসব ফলাফল তুলে ধরা হয়।
খাদ্যশস্যে যকৃত ক্যানসারের জন্য দায়ী অ্যাফ্লাটক্সিন নামক উপাদানের উপস্থিতি নিয়ে গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক তাজুল ইসলাম চৌধুরী। গবেষণায় আমদানি করা ও স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত চাল, বাদাম, আটা, মসুর ডাল, মুগ ডাল, ভুট্টা ও সরিষায় বিষাক্ত অ্যাফ্লাটক্সিনের পরীক্ষা করা হয়। ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, ঈশ্বরদী, নাটোর, বগুড়া, গাইবান্ধা, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়ের গুদাম ও পাইকারি বাজার থেকে ৬০টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
অন্য একটি গবেষণায় ক্ষতিকর ই কোলাই ব্যাকটেরিয়া খুঁজতে মূলত চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের অঞ্চলের কাঁচা লইট্টা, আধা ও পুরোপুরি শুকনো লইট্টা শুঁটকি পরীক্ষা করা হয়। সেখানে শতভাগ লইট্টার নমুনাতেই এই ব্যাকটেরিয়া পাওয়া গেছে। গবেষণা অনুসারে ৪৫টি নমুনার ৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ ক্ষেত্রে রোগ সৃষ্টিকারী এই ব্যাকটেরিয়া পাওয়া যায়। আর ৬ দশমিক ২৬ শতাংশ নমুনায় অ্যান্টিবায়োটিক সহনশীল ই কোলাই ব্যাকটেরিয়া রয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আবদুল কাইউম সরকার।
আরও বক্তব্য দেন- শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পোস্টগ্রাজুয়েট স্টাডিজের ডিন অলোক কুমার পাল।
প্যানেল আলোচক হিসেবে ছিলেন- অরেঞ্জ নলেজ প্রোগ্রাম প্রকল্পের উপদেষ্টা ক্যামিয়েল আলবার্টস ও খাদ্যনিরাপত্তা পরামর্শক রোনাল্ড ভ্যান দে হিউভেল- প্রমুখ।
(সূত্রঃ প্রথম আলো)