এবারের কুমারী মাতা পূজিত হন দেবী দুর্গার রুদ্রাণী রূপে। পূজায় পুরোহিত্য করেন অসিত ভট্টাচার্য ও কমলাপদ চক্রবর্তী
কমলাপদ চক্রবর্তী জানান, কুমারী পূজার মুল প্র্রতিপাদ্য হলো নারীতে পরমার্থ দর্শন ও পরমার্থ অর্জন। এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ড যে ত্রিশক্তির বলে প্রতিনিয়ত সৃষ্টি, স্থিতি ও লয় ক্রিয়া সম্পাদিত হচ্ছে।
শ্রীমঙ্গল সবুজবাগ এলাকার পুরিহিত শ্রী বিকাশ চক্রবর্তী জানান, এক থেকে ষোরশ বর্স পর্যন্ত যে কোনো কুমারী মেয়েকে দেবী মায়ের আসনে স্থান দিয়ে কুমারী পূজা করা হয়। তবে বয়স অনুসারে দেবীর নাম হয় ভিন্ন। যেমন কুমারীর আসনে এক বছরের কন্যা বসলে তিনি দেবীর সন্ধ্যা নামে পূজিত হন। দুই বছরে কন্য পূজিত হন দেবীর সরস্বতী রূপে এভাবে তিন বছরে কন্যা ত্রিধামূর্তি, চার বছরে কালীকা, পাঁচ বছরে, সুভগা, ছয় বছরে উমা, সাত বছরের মালিনী, আট বছরে কুব্জিকা, নয় বছরে কালসন্দর্ভা, দশ বছরে অপরাজিতা, এগারো বছরে রূদ্রাণী, বারো বছরে ভৈরবী, তেরো বছরে মহালক্ষ্মী, চৌদ্দ বছরে পীঠনাযি়কা, পনেরো বছরে ক্ষেত্রজ্ঞা ও ষোলো বছরে দেবীর অন্নদা বা অম্বিকা রূপে কুমারী মাতা পুজিত হন।
আয়োজক কমিটির সভাপতি সুনীল বৈদ্য শচী জানান, রঘুনাথপুর কালীবাড়িতে এবছর ১৫ তম কুমারী পূজার আয়োজন। প্রতিবছরের ন্যায় এবছর শান্তিপূর্ণভাবে কুমারী পূজা সম্পন্ন হয়েছে।