দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : সাড়ে ৬ বছরের বেশি সময় পর আজ মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত হচ্ছে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন। ইতোমধ্যে সম্মেলন ও কাউন্সিলের সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির শীর্ষ নেতরা। আজ সকাল ১০টা থেকে কক্সবাজার শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে কাউন্সিল শুরু হওয়ার কথা রয়েছে সম্মেলনের উদ্বোধক হিসেবে থাকবেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। প্রধান অতিথি থাকবেন সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গত ৭ ডিসেম্বর একই ভেন্যুতে আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনসভায় ভাষণ দেন।
জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, পূর্বনির্ধারিত সময় অনুযায়ী জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন ও কাউন্সিলের আয়োজনের সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভার জন্য নৌকার আদলে তৈরি করা শহীদ শেখ কামাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামের মঞ্চেই সকাল ১০টায় এ সম্মেলন শুরু হবে। তিনি আরও জানান, সম্মেলনে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় নেতা মাহবুব-উল আলম হানিফ, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, সিরাজুল মোস্তফা, আমিনুল ইসলাম আমিন, ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, মেয়র মুজিবুর রহমান জানান, এবারের সম্মেলনে ৪০৬ জন কাউন্সিলর থাকবেন। কাউন্সিলররা নতুন নেতৃত্ব নির্ধারণ করবেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দীর্ঘ সময় পর অনুষ্ঠিতব্য এ সম্মেলনকে ঘিরে নেতৃত্ব প্রত্যাশীরা নানান কৌশলে লবিং চালাচ্ছেন। সভাপতি-সম্পাদকের পদ পেতে লবিং থেকে পিছিয়ে নেই বর্তমান সংসদ সদস্যরাও।
এদিকে সকাল থেকে সম্মেলন স্থলে জড়ো হতে শুরু করেছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। দীর্ঘদিন পর সম্মেলনকে ঘিরে উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে তাদের মধ্যে। নেতাকর্মীদের মতে, এই সম্মেলন আগামী জাতীয় নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। সর্বশেষ কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৬ সালের ২৮ জানুয়ারি। এর সাড়ে ৮ মাস পর ৭১ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ জেলা কমিটি অনুমোদন দেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা ও তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। ওই সম্মেলনে অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফাকে সভাপতি এবং মুজিবুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করা হয়। তাদের কমিটির ৫ বছর পর সভাপতি সিরাজুল মোস্তফাকে কেন্দ্রীয় কমিটির ধর্মবিষয়ক সম্পাদক করে জেলা সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করা হয়। যা এখনো চলমান রয়েছে।