দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : রাজধানীর ঢাকার যানজট নিরসনে আওয়ামী লীগ সরকারের মেট্রোরেল প্রকল্পের পর দ্বিতীয় ধাপে দেশের প্রথম পাতাল রেলের উদ্বোধন করতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে গত ২৮ ডিসেম্বর দেশের প্রথম মেট্রোরেল উদ্বোধন করেন তিনি।
পূর্বাচল থেকে কমলাপুর হয়ে ঢাকার শাহজালার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত ৩১ কিলোমিটার এই মেট্রোরেল হচ্ছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, এই মেট্রোরেলের ২১ কিলোমিটার পাতালে হবে। ‘২৬ জানুয়ারি পূর্বাচলে আমাদের নেত্রী এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন এবং সুধী সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন। ২০৩০ পর্যন্ত ৬টি এমআরটি লাইন ঢাকা ও ঢাকার আশপাশে চলার জন্য এমআরটি লেইনের অধীনে চলে আসবে’, বলেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে লাইন-১ এর প্রকল্প পরিচালক আবুল কাশেম ভূঁঞা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পূর্বাচলে জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশের একটি খালি প্লটে লাইন-১ পাতাল রেলের শুভ সূচনা করবেন। তিনি একটি ফলক উন্মোচন করবেন। এর মধ্য দিয়ে লাইন-১ এর ডিপোর কাজ শুরু হবে। তিনি বলেন, পিতলগঞ্জের ডিপো নির্মাণ এলাকায় জায়গার সংকুলান হবে না তাই এটি এখানেই করা হবে। প্রকল্প অনুযায়ী এমআরটি লাইন-১ বিমানবন্দর রূট এবং পূর্বাচল রূটে বিভক্ত থাকবে।
বিমানবন্দর-কমলাপুর রূটটি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে শুরু করে বিমানবন্দর টার্মিনাল ৩, খিলক্ষেত, যমুনা ফিউচার পার্ক, নতুন বাজার, উত্তর বাড্ডা, বাড্ডা, হাতিরঝিল, রামপুরা, মালিবাগ, রাজারবাগ হয়ে কমলাপুর যাবে। সম্পূর্ণ সাড়ে ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এ রূট নির্মাণ হবে মাটির তল দিয়ে, থাকবে ১২টি স্টেশন। এ রূটের নতুন বাজার স্টেশনে হবে মেট্রো হাব। এখানে এমআরটি লাইন-৫ এর সঙ্গে এ রূটের আন্তঃসংযোগ থাকবে।
লাইন-১ এর পূর্বাচলগামী অংশটি নতুন বাজার থেকে যমুনা ফিউচার পার্ক, বসুন্ধরা হয়ে পুলিশ অফিসার্স হাউজিং সোসাইটি, মাস্তুল, পূর্বাচল পশ্চিম, পূর্বাচল সেন্টার, পূর্বাচল সেক্টর-৭ হয়ে পূর্বাচল টার্মিনাল পর্যন্ত বিস্তৃত হবে। প্রায় ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ পূর্বাচল রূটে বিমানবন্দর রূটের অন্তর্ভুক্ত নতুন বাজার ও যমুনা ফিউচার পার্কের আন্ডারগ্রাউন্ড স্টেশন দুটিসহ মোট স্টেশন থাকবে ৯ টি। এর মধ্যে বসুন্ধরা থেকে পূর্বাচল টার্মিনাল পর্যন্ত ৭টি স্টেশন হবে এলিভেটেড।