দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যা মামলা নিয়ে রাজনৈতিক কোনো চাপ নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান হারুন অর রশিদ। বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে আটক আওয়ামী লীগ নেতা কাজী কামাল আহমেদ বাবুর পুকুরে ফেলে দেওয়া তিনটি মোবাইল ফোন উদ্ধারকাজ পরিদর্শন শেষে এ কথা বলেন তিনি।
হারুন অর রশিদ বলেন, ‘যদি চাপ থাকতো তাহলে অল্প কিছুদিনের মধ্যে দ্রুত এতো বড় অর্জন করা সম্ভব হতো না। এতো দ্রুত সময়ে ঢাকার মাটিতে আমরা তিনজনকে গ্রেপ্তার করতে পারতাম না। ইতোমধ্যে আমরা পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছি। এর মধ্যে চারজন আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।’
হারুন অর রশিদ বলেন, ‘এ হত্যা মামলায় মোট সাতজন অংশ নেয়। তাদের মধ্যে পাঁচজনকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। বাকি দুজনকে গ্রেপ্তারের জন্য জোর প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। তারা সাগরে বা মাটির নিচে যেখানেই থাকুক না কেন আমরা তাদেরকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হব। কোনো ভালো মানুষকে হয়রানি করা হবে না এবং অভিযুক্ত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘যারা এমপি আনার হত্যায় জড়িত তারা মোটাদাগে সবাই বাংলাদেশি। এই হত্যায় আমানুল্লাহসহ আরও সাতজন সহযোগী ছিল। তারা সাতজনই কিলিং মিশন সংগঠিত করেছে। কিলিং মিশনের প্রধান ছিলেন শিমুল ভূইয়া।’
এর আগে আনার হত্যার আসামি শিমুল ভূঁইয়ার সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করা তিনটি মোবাইল ফোন উদ্ধারে ঝিনাইদহে অভিযান চালায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের একটি টিম। বুধবার (২৬ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঝিনাইদহের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারুক আযমের নেতৃত্বে এই অভিযান শুরু হয়। শহরের গাঙ্গুলী মিষ্টান্ন ভান্ডারের পিছনের পুকুর ও স্টেডিয়ামে পূর্ব পাশের পুকুরে আলামত উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা হয়।
মোবাইল উদ্ধারে ডুবুরি ও জেলেরা জাল নিয়ে পুকুরে নেমে উদ্ধার চালায়। আলামত উদ্ধার অভিযানে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান হারুন অর রশিদ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকা থেকে এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।