নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন- নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা না করা দলীয় বিষয়। নির্বাচন ইস্যুতে আওয়ামী লীগ সংবিধানের বাইরে যাবে না। সবাই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক সেটাই আমরা চাই। আর যদি কেউ না করে সেটা যার যার দলের সিদ্ধান্ত। সেজন্য আমাদের সংবিধান তো আমরা বন্ধ করে রাখতে পারি না। সংবিধানের যে ধারা সে অনুযায়ী গণতান্ত্রিক ধারাটা অব্যাহত থাকবে। আওয়ামী লীগ চায় গণতান্ত্রিক ধারাটা অব্যাহত থাকুক।
আজ বুধবার বিকালে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথাগুলো বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যের পাশাপাশি সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হয় আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আওয়ামী লীগ জোটগতভাবে করবে নাকি এককভাবে?
জবাবে শেখ হাসিনা বলেন- এই বিষয়টা তো সময় আসলে বলতে পারব, নির্বাচন যখন হবে। হ্যাঁ, আমরা ১৪ দল করেছি, আমরা জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করেছি। জাতীয় পার্টি আমাদের সঙ্গে ছিল। কিন্তু আমরা আলাদা নির্বাচন করেছি, কিন্তু আমাদের একটা সমঝোতা ছিল। ভবিষ্যৎ নির্বাচনে কে কোথায় থাকবে সেটা তো সময়ই বলে দেবে। আওয়ামী লীগ উদারভাবে কাজ করে, আওয়ামী লীগের দরজা খোলা। আর আমাদের সঙ্গে কে থাকবে না থাকবে অথবা নতুন জোট হবে, হবে হোক অসুবিধা নেই তো।
তিনি বলেন- এত কাজ করার পরে জনগণ অবশ্যই আওয়ামী লীগকে ভোট দেবে। এটা আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। যদি এই চলমান উন্নয়নের ধারাটা অব্যাহত রাখতে চায়, আর না চাইলে তো কিছু করার নাই, সেটা জনগণের ইচ্ছা।
তিনি আরো বলেন- বন্যা নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে আমরা একটি স্মারক সই করলাম। তার মাধ্যমে সিলেট বিভাগের বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন হবে। এসব বিষয় নিয়ে যারা সমালোচনা করে তারা কী এনেছিলেন? তারা তো সবকিছু ভুলে যান।
শেখ হাসিনা বলেন- খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকতে যখন ভারত সফরে গেল তখন তারা আপ্যায়ন ভালোই করেছিলেন। কিন্তু পরে এসে উনি বললেন- গঙ্গার পানির কথা বলতে ভুলেই গিয়েছিলাম। পানিতে বাংলাদেশের যে অধিকার, সেটা বলতে তারা ভুলে গিয়েছিলেন। যারা দেশের স্বার্থের কথা ভুলে যায় তারা আবার সমালোচনা করেন কোন মুখে?