সোহেল আহমদ চৌধুরী, বার্মিংহাম প্রতিনিধি : ১৯৬৩ থেকে ২০২৩ সাল পূর্ব পাকিস্তান থেকে স্বাধীন বাংলাদেশ। দীর্ঘ ষাট বছরের প্রবাস জীবনের আনন্দ বেদনা মুক্তিযুদ্ধ জীবনের নানা সংগ্রামের ইতিটেনে জাগতিক এই পৃথিবীর সকল বন্ধন ছিন্ন করে সকল মানুষের ভালবাসা ত্যাগ করে চিরদিনের জন্য অনন্তের পথে যাত্রা করলেন ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রবাসের সংগঠক অগ্নিকন্য মহীয়সী নারী বদরুন্নেসা পাশা এমবিই।
বার্মিংহাম সেন্ট্রাল মসজিদে যোহরের নামাজের পর জানাযা শেষে ১৯৭১ সালের এই বীর মহীয়সী নারীকে হাজারও শুভানুধ্যায়ী মানুষের হৃদয় নিংডানো ভালবাসা ও শ্রদ্ধায় আর অশ্রু সিক্ত নয়নে চির নিদ্রায় শায়িত করেন বার্মিংহামের হান্ডসওয়ার্থ কবরস্থানে। বৃটেনের বিভিন্ন শহর থেকে স্বতঃফূর্তভাবে উনার বন্ধু-বান্ধব সহ নানা পেশার মানুষের জানাযায় অংশ গ্রহনের মাধ্যমে সেন্ট্রাল মসজিদ হয়ে উঠে ১৯৭১ সালের ২৮ই মার্চের এক টুকরো স্মলহীত পার্ক।
যেখান থেকে সম্মিলিত ভাবে প্রতিবাদ করেছিলেন দশ হাজার এর বেশী মানুষ সমবেত হয়ে। সহযোদ্ধাদের সাথে প্রবাসে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠনে, উইম্যান এসোসিয়েশনকে সংগঠিত করতে । নানা পেশার মানুষের সঙ্গে এক সাথে অতীতে কাজ করতে হয়েছে মরহুমা মিসেস বদরুন্নেসা বেগম পাশা এমবিইকে ।
বার্মিংহাম বাংলাদেশ হাই কমিশনের সহকারি হাই কমিশনার মোহাম্মদ আলীমোজ্জামান ও হাই কমিশনের অন্যান্য কর্মকর্তাসহ সেই সব সহযোদ্ধা সহকর্মী আত্মীয় স্বজন ও বার্মিংহাম কমিউনিটির সর্বস্তরের প্রগতিশীল শোকার্ত মানুষের ঢল নেমেছিল সেন্ট্রাল মসজিদেরসহ আশপাশে।