দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মাঠে গড়ালেও হেভিওয়েটদের লড়াই শুরু হচ্ছে আজ। বার্বাডোসে শনিবার রাত ১১টায় মাঠে নামছে দুই জায়ান্ট অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড। যাদের লড়াইকে বলা হচ্ছে ব্যাটল অব চ্যাম্পিয়ন্স।
টেস্ট ও ওয়ানডে ফরম্যাটের শিরোপাধারী অস্ট্রেলিয়াকে বলা হয় উইনিং মেশিন। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচটা অনায়াসেই জিতেছে। আর প্রথম দল হিসেবে শিরোপা পুনরূদ্ধারের লড়াইয়ে নামা ইংল্যান্ড আছে বেশ চাপে। কারণ ব্রিজটাউনে স্কটল্যান্ডের সঙ্গে ম্যাচটা ভেসে গেছে বৃষ্টিতে। পয়েন্ট ভাগাভাগি হওয়ায় জয়ের জন্য মরিয়া হয়ে মাঠে নামবে তারা। তার ওপর বোলিং বিভাগও ভাবনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্কটিশদের বিপক্ষে ১০ ওভার বল করে ৯০ রান খরচ করে কোনও উইকেট নিতে পারেনি। এই অবস্থায় আরেকটি পরাজয় তাদের সুপার এইটের সম্ভাবনার পথে কাঁটা বিছিয়ে দেবে।
তবে ইংল্যান্ডকে আশা দেখাতে পারে দুই দলের মুখোমুখি পরিসংখ্যান। এখন পর্যন্ত ৭টি পূর্ণ লড়াইয়ে ৬টিতেই জিতেছে ইংলিশরা। তার মধ্যে ২০১০ আসরের ফাইনালটিও আছে।
প্রথম ম্যাচ অনায়াসে জিতলেও তাতে দুশ্চিন্তার অনেক জায়গা আছে অস্ট্রেলিয়ার। ৩৯ রানের সেই জয়টি ছিল পুরোপুরি অলরাউন্ডার মার্কাস স্টয়নিস নির্ভর। টপ অর্ডারকে বেশ ভুগতে হয়েছে। দলটির অন্যতম বিস্ফোরক ব্যাটার গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে নিয়ে দুশ্চিন্তা সবচেয়ে বেশি। যার মারকুটে ব্যাটিংয়ে দলটি নির্ভর করে থাকে সেই ব্যাটার গত ফেব্রুয়ারির পর রানে নেই। অস্ট্রেলিয়া ও বেঙ্গালুরুর হয়ে ১৪টি ম্যাচ খেললেও তাতে মাত্র ৮.২১ গড়ে ১১৫ রান তুলতে পেরেছেন। তার মধ্যে ডাক ছিল ৫টি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও রেকর্ড স্বস্তির নয়। তবে অধিনায়ক মিচেল মার্শ আস্থা রাখছেন ম্যাক্সওয়েলের ওপর, ‘আমরা জানি ম্যাক্সি আমাদের হয়ে ম্যাচ জিতবে।’
ক্রিকেট বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীণ দুই দলের মহারণটা যে জমজমাট হবে সে বিষয়ে নিশ্চিত মার্শ। রোমাঞ্চকর লড়াইয়ের আভাস দিয়ে তিনি বলেছেন, ‘এই ফরম্যাটে ইংল্যান্ড অনেক দিন ধরেই অসাধারণ। ফলে এই ম্যাচে অনেক কিছুই ঘটতে যাচ্ছে। আমরাও ভীষণ উজ্জীবিত।