দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ৩৩৮ রানের পাহাড় গড়েছিল বাংলাদেশ, যা ছিল ওয়ানডেতে টাইগারদের সর্বোচ্চ স্কোর। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ফের রেকর্ড গড়ল তামিমবাহিনী। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ৩৪৯ রানের সংগ্রহ পেয়েছে বাংলাদেশ। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের পক্ষে দ্রুততম শতক হাঁকালেন মুশফিকুর রহীম।
মাত্র ৬০ বলে ১০০ করে অপরাজিত থাকেন মুশি। এতোদিন বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডেতে দ্রুততম শতকের রেকর্ডটি ছিল সাকিব আল হাসানের দখলে। ২০০৯ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৬৩ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন এই অলরাউন্ডার। দ্রুততম শতক ছাড়াও আজ আরো একটি মাইলফলক স্পর্শ করেছেন মুশফিক। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ৭ হাজার রান পূরণ করেছেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল। তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে ওয়ানডেতে ৭ হাজারি ক্লাবে প্রবেশ করলেন তিনি। তাঁর আগে এই কীর্তি গড়েছেন ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসান।
আজ টসে হেরে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। দলীয় ৪২ রানে অধিনায়ক তামিম ইকবাল রান আউট হন। ‘বার্থডে বয়’ তামিমের ব্যাট থেকে এসেছে ৩১ বলে ২৩ রান। অধিনায়কের বিদায়ের পর দ্বিতীয় উইকেটে লিটন দাস ও শান্ত গড়েন শতরানের জুটি। ১০১ রানের জুটির পর থামেন লিটন দাস। কুর্তিস ক্যাম্ফারের বলে অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইনকে ক্যাচ দেওয়ার আগে লিটন খেলেছেন ৭১ বলে ৭০ রানের ইনিংস। তার ইনিংসে ছিল ৩টি ছক্কা ও ৩টি চার।
তৃতীয় উইকেটে নাজমুল হোসেন শান্ত ও সাকিব এনে দেন ৩৯ রান। আজ ব্যাট হাতে বড় কিছু করতে পারেননি সাকিব। ফিরেন ১৭ রান করে। শান্ত থামেন ক্যারিয়ারসেরা ৭৩ রান করে। দলীয় ১৮২ ও ১৯০ রানে যথাক্রমে সাকিব ও শান্তকে হারিয়ে কিছুটা হলেও চাপে পড়ে বাংলাদেশ। সেখান থেকে বাংলাদেশকে বিশাল সংগ্রহের দিকে নিয়ে যান মুশফিক ও তাওহীদ হৃদয়। অভিষেকে শতকবঞ্চিত হওয়া হৃদয় আজ ১ রানের জন্য অর্ধশতক বঞ্চিত হয়েছেন। মাত্র ৩৪ বলে ৪৯ রান করেছেন এই ডানহাতি।