দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে ‘বি’ গ্রুপের লড়াইয়ের আগে অবশ্য অন্য উত্তাপও কম পোড়াচ্ছে না কার্লোস কুইরোজের দলকে। পুলিশি হেফাজতে মাশা আমিনি নামের এক তরুণীর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে এমনিতেই প্রতিবাদে উত্তাল ইরানের রাজপথ। যার সঙ্গে এরই মধ্যে একাত্মতা ঘোষণা করেছেন সরদার আজমুনসহ দলটির বেশ কয়েকজন তারকাও।
তবে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হওয়ার আগে টানা তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলতে যাওয়া ইরানকে বহিষ্কারের দাবিও উঠেছে। পূর্ব ইউরোপে চলমান যুদ্ধে রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহের অভিযোগে এই দাবি জানিয়েছে ইউক্রেনীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন। যদিও এসব একপাশে সরিয়ে রেখে কুইরোজের শিষ্যরা প্রথমবারের মতো ইরানকে নক আউট পর্বে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে নিজেদের তৈরিও করছেন।
অভাবিত কোনো চমক উপহার দেওয়ার স্বপ্নও আছে তাদের। ইংল্যান্ডের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স সেই স্বপ্নকে রাঙিয়ে দেওয়ার মতোই। নেশনস লিগে জয়হীন অভিযান যে ইংল্যান্ডকে নামিয়ে দিয়েছে ‘লিগ বি’তে। বিশ্বকাপেও তারা এসেছে টানা সাত ম্যাচ জিততে না পারার ব্যর্থতা সঙ্গী করেই।
১৯৫৮ সালে শেষবার এমন দুরবস্থা হয়েছিল ইংলিশদের। বিশ্বকাপের আগে পারফরম্যান্স খারাপ বলেই হয়তো এবার আর ইংল্যান্ডকে নিয়ে তেমন কোনো আশার বাণীও শোনাচ্ছেন না কেউ। এক অর্থে সেটি বরং হ্যারি কেইনদের জন্য ভালোই। প্রত্যাশার চাপ ছাড়াই নামতে পারছে তারা। অন্যদিকে ইংল্যান্ডের দুঃসময়কে প্রলম্বিত করতে মুখিয়ে ইরানও।