দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : বিশেষজ্ঞ স্পিনার হিসেবে একাদশে এলেও দলের একান্ত প্রয়োজনে ‘ব্যাটার’ হয়ে উঠলেন নাসুম আহমেদ। শেষদিকে নাসুম এবং শেখ মেহেদির ব্যাটে নির্ধারিত ৫০ ওভারে বাংলাদেশ তুরল ২৬৫ রান। এতে অধিনায়ক সাকিব এবং তাওহীদ হৃদয়ের দুটি পঞ্চাশোর্ধ ইনিংসের বড় অবদান আছে। ভারতের দুর্ধর্ষ ব্যাটিং লাইনআপের সামনে এই টার্গেট আদৌ লড়াই করার মতো হবে কিনা- সেটা সময়ই বলে দেবে।
কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে মোহাম্মদ শামিকে দারুণ বাউন্ডারিতে রানের খাতা খোলেন তানজিদ। ফিরতি ওভারে এসেই লিটন দাসকে তুলে নেন শামি। ২ বল খেলে কোনো রান না করেই বোল্ড হয়ে যান লিটন। পরের ওভারেই ১২ বলে ৩ চারে ১৩ রান করা তামিমকে বোল্ড করেন শার্দুল ঠাকুর।
১৫ রানে নেই ২ উইকেট! বিপদের এখানেই শেষ নয়, প্রথমবার টুর্নামেন্টে সুযোগ পাওয়া এনামুল হক বিজয় ১১ বলে ৪ রানের বেশি করতে পারেননি। দলীয় ২৮ রানে শার্দুল ঠাকুরের বলে ক্যাচ দেন লোকেশ রাহুলের গ্লাভসে। দ্রুত তিন উইকেট পতনের পর দলের হাল ধরেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান এবং মেহেদি মিরাজ। তবে ইনফর্ম মিরাজ বেশিক্ষণ অধিনায়ককে সঙ্গ দিতে পারেননি। তিনি ১৩ রান করে আউট হওয়ার পর সাকিবের সঙ্গী হন তাওহীদ হৃদয়। দুজনের জুটি একশ ছাড়াতেই ছন্দপত। চার বছর ধরে ওয়ানডে সেঞ্চুরি অপেক্ষায় থাকা সাকিব আউট হয়ে যান। তার ৮৫ বলে ৬ চার ৩ ছক্কায় ৮০ রানের ইনিংসটি থামে শার্দুল ঠাকুরের বলে বোল্ড হয়ে।
এরইসঙ্গে ভাঙে ১১৫ বলে ১০১ রানের জুটি।
সাত নম্বরে নেমে শামীম পাটোয়ারী ১ রান করে রবীন্দ্র জাদেজার বলে এলবিডাব্লিউ হয়ে যান। তাওহীদ হৃদীয় আউট হন ৮১ বলে ৫৪ রান করে। তার ইনিংসে ছিল ৫ চার ২ ছক্কা। শেষদিকে নাসুম আহমেদ ৪৫ বলে ৬ চার ১ ছক্কায় ৪৪ এবং শেখ মেহেদি ২৩ বলে ৩ চারে অপরাজিত ২৯* রানের ইনিংস খেললে নির্ধারিত ৫০ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৮ উইকেটে ২৬৫ রান। ভারতের শার্দুল ঠাকুর ৬৫ রানে নেন ৩ উইকেট। মোহাম্মদ শামি নিয়েছেন ৩২ রানে ২টি।