দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : ফ্রান্সের লু আভহাতে শুক্রবার রাতে ঘানার বিপক্ষে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে ৩-০ গোলে জিতেছে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। ১১ বছর পর ঘানার সঙ্গে খেলল ব্রাজিল। আফ্রিকার দেশটির বিপক্ষে এই নিয়ে পাঁচ ম্যাচ খেলে সবগুলোই জিতল তারা। জাতীয় দলে বরাবরই উজ্জ্বল নেইমার। ম্যাচের অবিসংবাদিত সেরা খেলোয়াড়টা তিনিই ছিলেন। তার দারুণ নৈপুণ্যেই বিশ্বকাপের আগে শেষ আন্তর্জাতিক ফুটবলের উইন্ডোর প্রথম ম্যাচে দাপুটে জয়টা তুলে নিল ব্রাজিল।
ঘানার বিপক্ষে ব্রাজিল সবশেষ খেলেছে সেই ২০১১ সালে। ১১ বছর আগের সেই ম্যাচে ব্রাজিল জিতেছিল ১-০ গোলে। আর সামগ্রিক হিসেবেও ব্রাজিলকে কখনো হারাতে পারেনি ঘানা, পারেনি নিদেনপক্ষে একটা ড্র আদায় করে নিতেও। সোনালি যুগের ঘানা যেটা পারেনি, সেটা যে বর্তমান ঘানাও পারবে না, সেটা একরকম অনুমিতই ছিল। মাঠের খেলায় পাওয়া গেল তারই প্রমাণ।
ম্যাচের শুরু থেকেই তারা ঘানার বিপক্ষে দুর্দান্ত প্রভাব বিস্তার করে খেলছিল। তাদের আক্রমণাত্মক ফুটবলের সামনে ঘানা এক প্রকার অসহায় আত্মসমর্পণ করে বসেছিল। বিশেষ করে ভিনিসিউস জুনিয়র, রাফিনহা, রিকারলিসন ও নেইমারের সম্মিলিত দফায় দফায় আক্রমণে ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়ে ঘানার রক্ষণভাগ।
তাতে ম্যাচের ৯ মিনিটেই এগিয়ে যায় ব্রাজিল। এ সময় কর্নার পায় ব্রাজিল। কর্নার থেকে রাফিনহার উড়িয়ে মারা বলে বুলেট গতির হেড নিয়ে জালে জড়ান মারকুইনহোস। ২৮ মিনিটে রিকারলিসনের গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ হয়। এ সময় নেইমারের বাড়িয়ে দেওয়া বল পেয়ে বক্সের বাইরে থেকে ডান পায়ের শটে জালে পাঠান রিকারলিসন। ৪০ মিনিটে নিজের জোড়া গোল পূর্ণ করেন টটেনহ্যামের তারকা রিকারলিসন। তাতে ব্রাজিল এগিয়ে যায় ৩-০ ব্যবধানে। এ সময় সেট পিচ থেকে ক্রসে রিকারলিসনকে বল বাড়িয়ে দেন নেইমার। সেটাতে বুদ্ধিদীপ্ত হেড নিয়ে বল জালে জড়ান রিকারলিসন।
বিরতির পর তিতে একাধিক পরিবর্তন আনেন দলে। তবে আর গোল পায়নি তারা। যদিও বেশ কয়েকটি গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল তার শিষ্যরা। ৭৫ মিনিটে লুকাস পাকুয়েতার ক্রস থেকে প্রায় গোল করে বসেছিলেন অ্যান্থনি। পুরো ৯০ মিনিট খেলা নেইমার ৮০ মিনিটে ঘানার তিনজন রক্ষণভাগের খেলোয়াড়কে কাটিয়ে গোলের সুযোগ তৈরি করেছিলেন। কিন্তু জালে জড়াতে পারেননি। তাতে ৩-০ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে তারা। মঙ্গলবার দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচে তিউনিসিয়ার মুখোমুখি হবে নেইমার-ভিনিসিউসরা।