দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : রুদ্ধশ্বাস ফাইনালে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে নারী ফুটবল বিশ্বকাপের নতুন চ্যাম্পিয়ন হলো স্পেন। আজ রবিবার সিডনির অলিম্পিক পার্ক স্টেডিয়ামে ৭৬ হাজার দর্শকের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত এই ফাইনালে ১-০ গোলের জয় তুলে নেয় স্পেনের মেয়েরা। ম্যাচের ২৯ মিনিটে একমাত্র গোলটি করেন স্পেন অধিনায়ক ওলগা কারমোনা। ২০১০ সালে প্রথমবার বিশ্বকাপ জিতেছিল স্পেনের পুরুষ দল।
নেদারল্যান্ডসকে তারা হারিয়েছিল ১-০ গোলেই। অন্যদিকে মেয়েদের বিশ্বকাপের মঞ্চে স্পেনের পথচলা খুব বেশি দিনের নয়। এর আগে মাত্র দুইবার বিশ্বকাপে খেলেছে স্পেনের মেয়েরা। ওই দুইবার তারা নক আউটেও যেতে পারেনি। এবার তৃতীয় প্রচেষ্টায় স্বপ্নের ফাইনালে এসে রীতিমতো শিরোপাও জিতে নিল হোর্হে ভিলদার দল! অন্যদিকে ইংল্যান্ডও প্রথমবার বিশ্বকাপ ফাইনালে উঠেছিল। কিন্তু দুর্দান্ত স্পেনের সামনে তাদের শিরোপা স্বপ্ন আর পূরণ হলো না। ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে জমে ওঠে ম্যাচ। ১৫তম মিনিটে ইংল্যান্ডের লরেন হ্যাম্পের শট বারে লেগে ফিরে আসে।
১৮তম মিনিটে পারাল্লুয়েলার শট দারুণ দক্ষতায় ফিরিয়ে দেন ইংলিশ গোলরক্ষক মার্টি ইয়ার্পস। ২২তম মিনিটে স্পেনের আরো একটি ভালো আক্রমণ ইংলিশ গোলরক্ষক আটকে দেন। অবশেষে আসে সেই মুহূর্ত। ম্যাচের ২৯তম মিনিটে স্পেনকে এগিয়ে দেন ওলগা কারমোনা।
পাল্টা আক্রমণ থেকে লেফট ব্যাক কারমোনাকে ক্রস দেন ফরোয়ার্ড মারিওনা কালদেন্তি।
কিছুটা এগিয়ে ইংল্যান্ডের পেনাল্টি বক্সে ঢুকে বাঁ পায়ের নিচু শটে ইংলিশ গোলরক্ষকের বাঁ পাশ দিয়ে বল জালে পাঠিয়ে দেন কারমোনা। এরপর একবার পেনাল্টি পেয়েও ব্যবধানটাকে দ্বিগুণ করতে পারেনি স্পেন। হেনি হেরমোসোর দুর্বল শট ধরে ফেলেন ইংলিশ গোলরক্ষক মেরি ইয়ার্পস।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধেও গোল পরিশোধের জন্য মুহুর্মুহু আক্রমণ চালিয়েছে ইংল্যান্ড। কিন্তু স্পেনের জমাট রক্ষণ তারা ভাঙতে পারেনি। উল্টো ৬১ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করার আরো একটি সুযোগ হারায় স্পেন। বোনমাত্তির শট উড়ে যায় গোলবারের সামান্য ওপর দিয়ে। নির্ধারিত সময় শেষে অতিরিক্ত ১৩ মিনিট যোগ করা হয়! অতিরিক্ত সময়ের বিচারে সেটা অনেক বেশি হলেও স্পেনের মেয়েরা হাল ছাড়েননি। অসামান্য স্পোর্টসম্যানশিপ দেখিয়ে জিতে নেন শিরোপা।