দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : সার্বিয়ায় দ্বিতীয় বন্দুক হামলার ঘটনায় কমপক্ষে আটজন নিহত ও অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। বন্দুকধারী বেলগ্রেড এলাকা থেকে ৬০ কিলোমিটার (৩৭ মাইল) দক্ষিণে একটি গ্রামের কাছে এই হামলা চালায়। চলন্ত গাড়ি থেকে একটি স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রের মাধ্যমে বন্দুক হামলা চালানো হয়। অপরাধী এখনো পলাতক বলে জানা গেছে। সার্বিয়ায় গত দুই দিনের মধ্যে এটি দ্বিতীয় গণহত্যার ঘটনা বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন।
এই সপ্তাহের শুরুর দিকে, সার্বিয়ায় ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটে। সার্বিয়ার রাজধানী বেলগ্রেডের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৪ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থীর এলোপাতাড়ি গুলিতে ৯ জন নিহত হয়। তাদের মধ্যে অন্তত আটজন শিক্ষার্থী, অন্যজন নিরাপত্তারক্ষী বলে জানা যায়। গত বুধবার সকালের দিকে বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে এ ঘটনা ঘটে। ওই ছাত্রের গুলিতে এক শিক্ষকসহ আরো কমপক্ষে ছয় শিক্ষার্থী আহত হয়েছে বলে জানায় দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
আজ শুক্রবার সকালে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বিশেষ পুলিশ বাহিনী ম্লাদেনোভাক এবং দুবোনার ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। ঘটনাস্থলের একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, পুলিশ অফিসাররা চেকপয়েন্টে গাড়ি থামিয়ে বন্দুকধারীকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। একটি হেলিকপ্টার, ড্রোন এবং একাধিক পুলিশ টহল দিচ্ছে আশপাশের এলাকায়।
স্থানীয় মিডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দুবোনার একটি পার্কে একজন পুলিশ অফিসারের সঙ্গে তর্ক করার পর ২০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র দিয়ে মানুষের ওপর গুলি চালাতে শুরু করে। একটি চলন্ত গাড়ি থেকে সে অতর্কিতে গুলি চালায়। গুলিতে কমপক্ষে আটজন নিহত হয় এবং আরো অনেকে আহত হয়। স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড্যানিকা গ্রুজিসিচ এবং নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান আলেকজান্ডার ভুলিন শুক্রবার ভোরে ঘটনাস্থলে যান বলে জানা গেছে। সার্বিয়ায় ব্যাপকভাবে বন্দুক হামলার ঘটনা বিরল। কারণ দেশটিতে কঠোর বন্দুক আইন আছে। তবে বন্দুকের মালিকানা দেশটিতে ইউরোপের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।