দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : রাশিয়ায় ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনারের বিদ্রোহের দিকে এখন নজর গোটা বিশ্বের। দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এর আগে নিজের দেশে এ রকম কঠিন পরিস্থিতিতে পড়েননি। রাশিয়ার ভাড়াটে আধাসামরিক বাহিনী ওয়াগনার গ্রুপ নাটকীয়ভাবে মস্কোর দিকেই অস্ত্র তাক করেছে। এটির নেতা ইয়েভগেনি প্রিগোজিন ১৯৯৯ সাল থেকে রাশিয়া শাসন করা পুতিনকে হটানোর ঘোষণা দিয়েছেন।
অন্যদিকে পুতিন প্রিগোজিনকে বিচারের মুখোমুখি করার ঘোষণা দিয়েছেন। এতকাল রাশিয়ার সেনাবাহিনীর সঙ্গে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত ছিল ওয়াগনার গ্রুপ। কিন্তু এই গ্রুপটি এবার পুতিনবিরোধী হয়ে ওঠায় রাশিয়ায় তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্বনেতারা ইতিমধ্যে পরিস্থিতির দিকে নজর রাখার কথা জানিয়েছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে উল্লেখ করে দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র এডাম হজ বলেন, ‘এই পরিস্থিতি নিয়ে মিত্র ও অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।’ ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রধান চার্লস মিশেল এ বিষয়ে টুইটারে লিখেছেন, ‘জোটটি রাশিয়ার পরিস্থিতির দিকে নিবিড়ভাবে চোখ রাখছে। এ বিষয়ে ইউরোপীয় নেতা ও জিসেভেন অংশীদারদের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।’ তবে তিনি এটাও উল্লেখ করেছেন, বিষয়টি রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং ইউক্রেনের প্রতি জোটের সমর্থন অপরিবর্তিত থাকবে।
ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক সব পক্ষকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে এবং বেসমারিক মানুষদের রক্ষায় সচেষ্ট থাকতে আহ্বান জানিয়েছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে তিনি বলেন, ‘আমরা এই পরিস্থিতি নিয়ে আমাদের মিত্রদের সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। আমি আজকে তাদের সঙ্গে কথা বলব। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে সব পক্ষের দায়িত্বশীল আচরণ করা।’ জার্মান সরকারও রাশিয়ার পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে।
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মস্কোর কেন্দ্রীয় অঞ্চলের পাশাপাশি সরকারি ও সামরিক ভবন এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে। এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলনস্কি জানিয়েছেন, ওয়াগনারের বিদ্রোহ দেখাচ্ছে যে রাশিয়া দুর্বল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘রাশিয়ার দুর্বলতা স্পষ্ট। পূর্ণমাত্রায় দুর্বলতা। রাশিয়া আরো যত বেশি সময় তাদের সেনা ও ভাড়াটে সেনাদের আমাদের জমিনে রাখবে ভবিষ্যতে তারা ততই বিশৃঙ্খলা, যন্ত্রণা ও সমস্যা ভোগ করবে।’