দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : গাজার চলমান সংঘাতে বিরতি দেওয়ার জন্য ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। হোয়াইট হাউজের এক মুখপাত্র এর আগে জানিয়েছেন যে, মার্কিন ও ইসরায়েলি নেতারা সোমবার নিজেদের মধ্যে কথোপকথনের সময় মানবিক কারণে গাজায় ইসরায়েলের হামলায় কৌশলগত বিরতি এবং জিম্মিদের সম্ভাব্য মুক্তির বিষয়ে আলোচনা করেছেন। এক সংবাদ সম্মেলনে বাইডেকে একজন সাংবাদিক জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে, তিনি তিন দিনের বিরতির পরামর্শ দিয়েছেন কি না? কিন্তু তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি।
ওয়াশিংটন এবং অন্যান্য পশ্চিমা দেশগুলো শুরু থেকে ইসরায়েল এবং হামাসের সংঘাতে ইসরায়েলকেই সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। এখন পর্যন্ত সেখানে লাগাতার হামলা অব্যাহত রয়েছে।
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বোমা হামলায় ১০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হয়েছে। এর মধ্যে চার হাজারের বেশিই শিশু। নিহতদের মধ্যে ৬৫ শতাংশই নারী এবং শিশু বলে জানা গেছে।
এর আগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, ত্রাণ প্রবেশ এবং গাজা উপত্যকা থেকে জিম্মিদের বের করে আনতে গাজায় ‘কৌশলগত সামান্য বিরতি’ দেওয়ার কথা বিবেচনা করছে তার দেশ। কিন্তু আন্তর্জাতিক চাপ বাড়তে থাকার পরেও যুদ্ধবিরতির আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছেন তিনি। নেতানিয়াহু বলেন, একটি সাধারণ যুদ্ধবিরতি তার দেশের যুদ্ধ প্রচেষ্টাকে ব্যাহত করবে। তবে মানবিক কারণে লড়াইয়ে বিরতি দেওয়া ইসরায়েলের শীর্ষ মিত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থিত একটি ধারণা। পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
ইসরায়েলে এবং গাজার নিয়ন্ত্রণকারী ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস উভয়ই যুদ্ধবিরতি জন্য তৈরি হওয়া প্রবল আন্তর্জাতিক চাপ প্রত্যাখ্যান করেছে। ইসরায়েলের দাবি, আগে হামাসের হাতে বন্দি সব জিম্মিকে মুক্তি দিতে হবে। আর হামাস বলছে, গাজায় হামলা চালানো বন্ধ না হলে তাদের মুক্তি দেওয়া হবে না আর লড়াইও থামানো হবে না।
সোমবার এবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে নেতানিয়াহু বলেন, এখানে এক ঘন্টা, সেখানে এক ঘন্টা এরকম কৌশলগত সামান্য বিরতি আমরা আগেও দিয়েছি। আমি মনে করি বিভিন্ন ধরনের পণ্য, মানবিক পণ্য আসার জন্য বা জিম্মিদের বের করে আনার জন্য এটা হতে পারে। তবে আমি মনে করি না যে, সাধারণ যুদ্ধবিরতি হবে।