দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : বরিস জনসন ছুটি কাটিয়ে লন্ডনে ফিরছেন। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে তিনি অংশ নিচ্ছেন বলে গুঞ্জন চরমে উঠেছে। বাণিজ্যমন্ত্রী স্যার জেমস ডুড্রিজকে উদ্ধৃত করে বিবিসি জানিয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী তাকে বলেছেন যে তিনি ‘এ জন্য প্রস্তুত রয়েছেন’। ঋষি সুনাকের সমর্থকরা বলছেন, প্রতিযোগিতায় নামার জন্য ১০০ জন কনজারভেটিভ এমপির সমর্থন পাওয়ার যে বাধ্যবাধকতা রয়েছে, ঋষি তা উতরে গেছেন।
শুক্রবার বিবিসি জানিয়েছে, আগামী সপ্তাহে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্ব নির্বাচিত হবে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিসেবে ইতোমধ্যে সাবেক অর্থমন্ত্রী রিশি সুনাক এবং হাউজ অব কমন্সের নেতা পেনি মর্ডন্টের নাম সামনে চলে এসেছে। বাণিজ্যমন্ত্রী জ্যাকব রিজ-মগ বৃহস্পতিবার বরিস জনসনের পক্ষে সহকর্মীদের কাছ থেকে সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করছেন। তিনি টুইটারে ‘বরিসন অর বাস্ট’ হ্যাশট্যাগ চালু করেছেন।
জনসন যদি প্রত্যাবর্তন করেন তবে এটি ব্রিটিশ রাজনৈতিক ইতিহাসে নজিরবিহীন হবে। অবশ্য কনজারভেটিভ পার্টির নেতাকর্মীদের মধ্যে পরিচালত জরিপে দেখা গেছে, জনসনের প্রতি অনেকেরই সমর্থন রয়েছে। তবে জনসন ইস্যুতে টোরি এমপিদের মধ্যে বিভক্তিও রয়েছে। অনেকে সাফ জানিয়েছেন, জনসন ফিরে এলে তারা রাজনীতি ছেড়ে দেবেন।
দ্য টেলিগ্রাফের রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে নাম উঠে আসতেই ঋষি সুনাককে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য চাপ দিচ্ছেন বরিস জনসন। সম্প্রতিই দুইজনের মধ্যে বিরোধের যে চিত্র জনসমক্ষে উঠে এসেছিল, তা মিটমাট করে নেওয়ার সুযোগ দিচ্ছেন, এমনটাও দাবি করেছেন বরিস। আগামী সপ্তাহেই ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন হবে। আগামী শুক্রবারের মধ্যেই জানা যাবে ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে হবেন।