দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : বিক্ষোভ ও চাপের মুখে পড়ে প্রস্তাবিত বিচারবিভাগীয় সংস্কার স্থগিত রাখার কথা ঘোষণা করলেন নেতানিয়াহু। এরপরই ট্রেড ইউনিয়নগুলো তাদের ধর্মঘটের ডাক প্রত্যাহার করে নিয়েছে। সোমবার রাতে বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, ‘আমাদের জনগণের মধ্যে ফাটল আটকাতে’ এ পরিকল্পনা স্থগিত করা হয়েছে।
এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করায় নেতানিয়াহু প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে বরখাস্ত করেছিলেন। তার প্রতিবাদে লাখো মানুষ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ দেখান। ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন ধর্মঘটের ডাক দেয়। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো জানায়, তারা এই সংস্কারের বিরোধী। এমনকি নেতানিয়াহুর লিকুদ পার্টি ও জোট শরিক নেতাদের একাংশ এই সিদ্ধান্তে খুশি ছিলেন না। এই পরিস্থিতিতে নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, ‘যখন গৃহযুদ্ধ এড়ানোর জন্য আলোচনার একটা বিকল্প আছে, তখন আমি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সেই বিকল্পই নিচ্ছি।’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও জানিয়েছিলেন, ৩০ এপ্রিল পার্লামেন্ট ডাকা হয়েছে। তত দিন পর্যন্ত যেন নেতানিয়াহু তার পরিকল্পনা রূপায়ণ না করেন।
নেতানিয়াহু বিচার বিভাগের সংস্কার করে বিচারপতিদের নিয়োগের পূর্ণ ক্ষমতা সরকারের কাছে রাখতে চান। বিচার বিভাগ যাতে কোনো নেতাকে দুর্নীতি বা অন্য কোনো অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত না করতে পারেন, সেটাও নিশ্চিত করতে চান। নেতানিয়াহু যখন এই ঘোষণা করছেন, তখন লাখখানেক মানুষ পার্লামেন্টের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। সোমবার থেকে দেশজুড়ে ধর্মঘটও ডাকা হয়েছিল। তবে এই ঘোষণার পর ট্রেড ইউনিয়নগুলোর কনফেডারেশন দ্রুত সেই ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেয়।
এর আগে ফেডারেশন তাদের সাত লাখ সদস্যকে কাজ করা বন্ধ করার কথা বলেছিল। এসব কর্মী স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, ব্যাংকিংসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের কর্মী। এই ধর্মঘটের জের বিমান চলাচলেও পড়েছিল। ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট নেতানিয়াহুর ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, ‘এখন সময় হলো এই বিষয়টিকে নিয়ে খোলাখুলি ও যুক্তি দিয়ে আলোচনা করার।’ সাবেক প্রধানমন্ত্রী লাপিদ বলেছেন, তারা এই ঘোষণাকে স্বাগত জানাচ্ছেন। তার দল আলোচনার জন্য প্রস্তুত। যদি সরকার ঠিকভাবে আলোচনা করে, তাহলে এই সংকট থেকে বের হয়ে আসা সম্ভব।