দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : আর্থিক সহায়তার জন্য আইএমএফের সঙ্গে আলোচনা চূড়ান্ত হওয়ার আগেই অর্থসংকটে জর্জরিত পাকিস্তানকে ৭০ কোটি ডলার সহায়তা দিয়েছে দেশটির দীর্ঘদিনের মিত্র চীন। এক টুইট বার্তায় এমনটাই জানিয়েছেন দেশটির অর্থমন্ত্রী ইসাক দার। অর্থমন্ত্রী ইসাক দার এই সপ্তাহের শুরুতে বলেছিলেন, পাকিস্তান চীনের কাছ থেকে সাহায্য পাওয়ার আশা করছে। স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার এই অর্থ ব্যাংকে পৌঁছেও গেছে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি টুইট করে জানান, ‘চায়না ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক থেকে স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তান আজ ৭০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের তহবিল পেয়েছে।’প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ চীনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। শুক্রবার রাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের এক নিরাপত্তা বৈঠকে চীনের আর্থিক সহায়তার ব্যাপারটি নিশ্চিত করেন তিনি। চীনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা আগে একবার আমাদের বন্ধুরাষ্ট্রের কাছে ঋণ সহায়তা চেয়েছিলাম। তারপর আমরা ধারণা করেছিলাম, তারা হয়তো আইএমএফের জন্য অপেক্ষা করছে। আইএমএফ ঋণ সহায়তা দিলে তারাও ঋণ দেবে। কিন্তু কয়েক দিন আগে আমাদের বন্ধুরাষ্ট্র থেকে বার্তা আসে- ঋণ নয়, আমরা আপনাদের সরাসরি (অর্থ সহায়তা) দিচ্ছি। তারপর আজ মিলল সেই সহায়তা। কিছু ব্যাপার কখনো ভোলা সম্ভব হয় না। এটিও তেমন একটি ব্যাপার। বন্ধুরাষ্ট্রের এই বদান্যতা আমরা কখনো ভুলব না।’
কোনো দেশের অর্থনৈতিক ভারসাম্য রক্ষা করতে হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে তিন মাসের আমদানি ব্যয়ের সমপরিমাণ ডলারের মজুদ থাকতে হয়, কিন্তু পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কয়েক সপ্তাহ আগে ২.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের নিচে নেমে গিয়েছিল।
এই পরিস্থিতিতে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ঋণদাতা সংস্থা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বরাবর জরুরি ভিত্তিতে ২৯০ কোটি ডলার ঋণের জন্য তদবির শুরু করেছে পাকিস্তান। এই ঋণের মধ্যে প্রথম কিস্তিতে ১১০ কোটি ডলার ছাড় দেওয়ার আবেদনও জানিয়েছে দেশটির সরকার। আইএমএফ অবশ্য ঋণের ব্যাপারে এখনো রাজি হয়নি। তবে কিছু শর্ত জুড়ে দিয়েছে। শর্ত পূরণ হলে তারা বিবেচনা করে দেখবে।