দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : জোহানেসবার্গ ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস সিটির মতে, আগুনে সর্বশেষ মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৩। হতাহতের খোঁজে তল্লাশি চলছে। দক্ষিণ আফ্রিকার বৃহত্তম শহর জোহানেসবার্গের একটি ফ্ল্যাটের ব্লকে আগুন লেগে অন্তত ৫২ জন মারা যায় বলে জানা গিয়েছিল। পরে মৃতের সংখ্যা আরো বেড়েছে।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ৪৩ জনেরও বেশি। জোহানেসবার্গ কর্তৃপক্ষ বলছে, শহরের কেন্দ্রস্থলে পাঁচতলা ভবনটিতে কী কারণে আগুন লেগেছে তা স্পষ্ট নয়। স্থানীয় প্রতিবেদন অনুযায়ী, জোহানেসবার্গের অগ্নিকাণ্ডের শিকার ভবনটির বাসিন্দারা প্রধানত অভিবাসী ছিলেন। স্থানীয় প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভবনটি যে এলাকায় অবস্থিত সেটি ছিনতাইয়ের জন্য কুখ্যাত ছিল। এ ছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকায় অবৈধভাবে দখল করা ভবনগুলোর একটি। এদিকে একজন দমকলকর্মী বলেছেন, অগ্নিকাণ্ডের শিকারদের মধ্যে অনেকেই সম্ভবত ভবনের ভেতর আটকা পড়েছিলেন। ভবনটির ভেতরে অনেক ছোট ছোট রুম রয়েছে। সেখানে তারা আটকা পড়েছিল।
জরুরি পরিষেবার একজন মুখপাত্র রবার্ট মুলাউদজি সংবাদ সংস্থা বিবিসিকে বলেছেন, দমকলকর্মীরা কিছু বাসিন্দাকে বের করে আনতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি বলেন, আগুনে ভবনটি পুরো পুড়ে গেছে এবং আহতদের খোঁজে তল্লাশি অব্যাহত রয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স (টুইটার)-এ একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন রবার্ট মুলাউদজি। ভিডিওতে ভবনের পোড়া জানালা দিয়ে বাইরে ফায়ার ট্রাক এবং অ্যাম্বুল্যান্স দেখা যাচ্ছিল এবং ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া ছবিতে দেখা যায়, পোড়া ভবনটির সামনে সারিবদ্ধ করে লাশগুলো রাখা হয়েছে। রবার্ট মুলাউদজি আরো বলেন, ‘প্রধান শহরের কেন্দ্রস্থলে ভবনটি অবস্থিত।
এটি একটি পুরনো ভবন। ভেতরে অনেক ধ্বংসাবশেষ রয়েছে, যা আমাদের অপসারণ করতে হবে। পুরো ভবনটি খালি করা হয়েছে।’
মুলাউদজি জানান, ২২ বছরের চাকরিজীবনে এমন ঘটনা আগে কখনো দেখেননি তিনি। অগ্নিনির্বাপক দলের কর্মীরা ধ্বংসাবশেষ পরিষ্কার করার জন্য প্রতি তলায় প্রবেশের চেষ্টা করছেন। কর্মকর্তারা বলছেন, মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। আগুন অনেকটাই নিভিয়ে ফেলা হয়েছে, কিন্তু পুড়ে যাওয়া অ্যাপার্টমেন্ট ব্লক থেকে কালো ধোঁয়া এখনো বের হচ্ছে।