দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : তুরস্ক ৬ ফেব্রুয়ারির ভূমিকম্পের পর আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্ধার তৎপরতা থামালেও এখনো মরদেহের খোঁজ চলছে কিছু এলাকায়। গতকাল মঙ্গলবার নতুন করে জোড়া ভূমিকম্প ও ৩১টি পরাঘাতে দক্ষিণাঞ্চলীয় এসব বিধ্বস্ত এলাকায় আবারও ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়েছে হাজারো মানুষ।
গত সোমবার স্থানীয় সময় রাত ৮টা ৪ মিনিটে হাতায় প্রদেশের ডেফনে শহরে আঘাত হানে ৬.৪ মাত্রার ভূমিকম্প। এর তিন মিনিট পরই ৫.৮ মাত্রার আরেক ভূমিকম্প আঘাত হানে। এসব ভূমিকম্প সীমান্তবর্তী সিরিয়া ও লেবাননেও অনুভূত হয়। পরবর্তী সময়ে তুলনামূলক কম শক্তিশালী ৩১টি পরাঘাত রেকর্ড করে তুরস্কের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা (আফাদ)।
নতুন দুই ভূমিকম্পে গতকাল পর্যন্ত ছয়জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজন আগের ভূমিকম্পে তাদের ক্ষতিগ্রস্ত ভবন থেকে জিনিসপত্র আনতে গিয়ে মারা গেছেন বলে জানিয়েছে আফাদ। মানুষের ঘরে ফেরার ঝুঁকির বিষয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছে সংস্থাটি। এ ছাড়া তুরস্কে হাসপাতালে ৩০০ জনের চিকিৎসা নেওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সিরিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর আলেপ্পোতে ১৫০ জন আহতের তথ্য পাওয়া গেছে।
এই ভূমিকম্পে মৃত্যুর সংখ্যা কম। তার কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে, আগের বড় ভূমিকম্পে হাতায় প্রদেশের অনেক ভবনই এখন ফাঁকা। বেশির ভাগ মানুষ খোলা আকাশের নিচে তাঁবু টানিয়ে বসবাস করছে। তার পরও অনেক অঞ্চলে আগের ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের দেয়াল ভেঙে গেছে। অনেকে ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেমান সৌলু বলেন, উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসস্তূপ থেকে মানুষ উদ্ধারের চেষ্টা করছে।
নতুন ভূমিকম্পে হতাহত কম হলেও মানুষের মধ্যে ভয় বেড়েছে। আনতাকয়া প্রদেশের নোটারি কার্যালয়ে কর্মরত মেহমেত ইরমাক বলেন, ‘সড়কগুলো যেন ঢেউয়ের মতো দুলছে, ভবন সামনে-পিছে যাচ্ছে, গাড়ি একবার ডানে একবার বাঁয়ে যাচ্ছে। হাতায় এখন আর কোনো নিরাপদ স্থান নয়। আমরা অনেক ভবনধসের শব্দ শুনতে পেয়েছি।’