দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : ইসরায়েলি বাহিনী অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিন শরণার্থীশিবির ছাড়তে শুরু করেছে বলে একটি প্রতিরক্ষা সূত্র জানিয়েছে। দুই দিনের এই বড় অভিযানে ১২ ফিলিস্তিনি এবং একজন ইসরায়েলি সৈন্য নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় খবরটি প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে জেনিন শরণার্থী শিবিরজুড়ে গোলাগুলি এবং বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।
এদিকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনি জঙ্গিদের ছোড়া পাঁচটি রকেট প্রতিহত করেছে। তবে কোনো গোষ্ঠী তাৎক্ষণিকভাবে এই হামলার পেছনের দায় স্বীকার করেনি। জেনিন থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার শুরুর সঙ্গে সঙ্গে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে নিহত এক ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার খবর প্রকাশ করেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। তিনিই সোমবার থেকে চলা অভিযানে নিহত শহরে ১২তম ফিলিস্তিনি। পৃথকভাবে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শরণার্থীশিবিরে অগ্নিকাণ্ডে একজন নন-কমিশনড কর্মকর্তা আহত হয়েছেন।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইসরায়েলি বাহিনী জেনিনে ‘মিশন সম্পূর্ণ করছে।’ তবে সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে এটি ‘এককালীন পদক্ষেপ’ নয়। ফিলিস্তিনি নেতারা ইসরায়েলকে ‘আক্রমণ’ করার জন্য অভিযুক্ত করেছেন। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী সোমবার ভোরে জেনিন শরণার্থীশিবিরে একটি ড্রোন হামলার মাধ্যমে তার অভিযান শুরু করে।
তারা হামলা চালায় জেনিন ব্রিগেডের একটি যৌথ কমান্ড সেন্টারকে লক্ষ্য করে। এটি হামাসসহ বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠীর একটি ইউনিট। ড্রোন হামলাসহ বিমান হামলা চালায় ইরায়েল। শত শত সৈন্য শিবিরে প্রবেশ করে এবং শিবিরের ভেতরে সশস্ত্র ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে তীব্র বন্দুকযুদ্ধে লিপ্ত হয়। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছিল, জেনিনে বিপুল অস্ত্র মজুদ করেছে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র যোদ্ধারা।
যা তাদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি। তারা সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান করছে। অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা এবং শিবির নিরাপদ করার চেষ্টা করছে। ইসরায়েলিদের হামলায় যে ১২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন তাদের মধ্যে অন্তত পাঁচজন সশস্ত্র প্রতিরোধ যোদ্ধা। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১০০ জন।
জেনিন শরণার্থী শিবিরে ১৪ হাজারেরও বেশি মানুষ বসবাস করেন। সাম্প্রতিক সময়ে এখানে ঘন ঘন হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা। এতে করে শিবিরে বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা করছিল আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।