দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : একাধিক ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটতে চলেছে একসঙ্গে। এই প্রথম চাঁদে পা পড়বে কোনো নারীর। এই প্রথম চাঁদে যাচ্ছেন কোনো কৃষ্ণাঙ্গ। এই প্রথম চাঁদে যাবেন কানাডার নাগরিক।
নাসা জানিয়েছ, আর্তেমিস-২ নামের এ চন্দ্রাভিযানে থাকবেন মোট চারজন নভোচারী। এর মধ্যে রয়েছেন একজন নারী এবং একজন কৃষ্ণাঙ্গ পুরুষ। বাকি দুই জন শেতাঙ্গ পুরুষ। সোমবার (৩ এপ্রিল) এক অনুষ্ঠানে তাদের পরিচয় করিয়ে দেয় সংস্থাটি। প্রায় ৫০ বছর পর আবার চাঁদে মানুষের পা পড়তে চলেছে। আগামী বছর নাসা চাঁদের যে মিশন তৈরি করছে, তার নাম দেওয়া হয়েছে ‘আরটেমিস টু লুনার মিশন।’
নারী হিসেবে সবচেয়ে বেশিদিন মহাকাশের গবেষণাগারে সময় কাটিয়েছেন চাঁদে পা দিতে যাওয়া নারী। সব মিলিয়ে তিনি সেখানে ছিলেন ১১ মাস। তার নাম ক্রিস্টিনা কোচ। অপরদিকে কৃষ্ণাঙ্গ পুরুষ নভোচারীর নাম ভিক্টর গ্লোভার। মার্কিন নৌ বাহিনীর সাবেক এ বৈমানিক এখন পর্যন্ত চারবার মহাকাশে গেছেন। তিনি আর্তেমিস-২ চন্দ্রাভিযানে পাইলটের দায়িত্ব পালন করবেন। অপর দুই শেতাঙ্গ নভোচারী হলেন জেরেমি হানসেন এবং রেড ওয়াইজম্যান। জেরেমি হানসেন কানাডার বিমানবাহিনীর একজন কর্নেল। তিনি এ অভিযানে মিশন স্পেশালিস্টের দায়িত্ব পালন করবেন। অপর নভোচারী রেড ওয়াইজম্যান যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর যুদ্ধবিমানের পাইলট। তাকে আর্তেমিস-২ অভিযানের কমান্ডার হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে।
চাঁদে পৌঁছে প্রথমে তার কক্ষপথ ঘুরে দেখবেন মহাকাশচারীরা। তারপর তারা চাঁদে পা দেবেন। বস্তুত, এর ঠিক পরই আরো একটি চন্দ্রাভিযানের পরিকল্পনা আছে নাসার। সে বিষয়ে অবশ্য এখনো বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। নাসা জানিয়েছে, এটি একটি ঐতিহাসিক মিশন হতে চলেছে। এরপর থেকে চাঁদে যেতে চাওয়া ব্যক্তিদের আরটেমিস প্রজন্ম হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। এদিন মহাকাশচারীদের সঙ্গে আলাপ করিয়ে দিয়েছে নাসা। তারা সকলেই স্পেস স্যুট পরে ছিলেন। নাসার এই ঘোষণার পর মহাকাশচারীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। টুইটে তিনি লিখেছেন, আগামী প্রজন্মের কাছে এই মিশন হবে অনুকরণীয়।