1. bazmedialink7@gmail.com : Baz Alam : Baz Alam
  2. mdkaif01133@gmail.com : md :
  3. talhanrcc2014@gmail.com : Talha : MD TALHA
  4. deshbidesh2022@gmail.com : Tuhin Ahmed : Tuhin Ahmed
গুহায় ৫০০ দিন কাটিয়ে বেরিয়ে এলেন স্প্যানিশ অ্যাথলেট ফ্লামিনি - DeshBideshNews
November 28, 2024, 4:34 pm
 

গুহায় ৫০০ দিন কাটিয়ে বেরিয়ে এলেন স্প্যানিশ অ্যাথলেট ফ্লামিনি

  • Update Time : Saturday, April 15, 2023
  • 81 Time View
গুহায় ৫০০ দিন কাটিয়ে বেরিয়ে এলেন স্প্যানিশ অ্যাথলেট ফ্লামিনি

দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : গুহায় ৫০০ দিন কাটিয়ে বাইরের আলো-বাতাসের সংস্পর্শে এলেন বিট্রিজ ফ্লামিনি নামে এক নারী। তিনি একজন স্প্যানিশ অ্যাথলেট। মানুষের সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগ ছাড়াই ৫০০ দিন গুহায় কাটিয়েছেন তিনি। এই ঘটনা বিশ্ব রেকর্ড হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফ্লামিনির বয়স এখন ৫০। যখন তিনি গুহায় প্রবেশ করেছিলেন তখন তার বয়স ছিল ৪৮। গুহায় কিভাবে দিন কাটিয়েছেন সেটাও জানান তিনি। তার সময় কেটেছে ব্যায়াম করে, উল দিয়ে টুপি বুনে। এ ছাড়া সঙ্গে নিয়েছিলেন ৬০টি বই এবং এক হাজার লিটার পানি।

যে গুহায় তিনি ৫০০ দিন কাটিয়েছেন সেটি ছিল ৭০ মিটার (২৩০ ফুট) গভীর। স্প্যানিশ টেলিভিশন চ্যানেল টিভিইর ভিডিওতে দেখা যায়, হাসতে হাসতে গুহা থেকে বেরিয়ে আসছেন ফ্লামিনি। গুহা থেকে বেরিয়ে তার দলের সদস্যদের আলিঙ্গন করেন। এর পরপরই গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এ সময় তার এই অভিজ্ঞতাকে ‘চমৎকার, অপরাজেয়’ হিসেবে বর্ণনা করেন। এতোদিন তাকে একদল মনোবিজ্ঞানী, গবেষক, স্পিলিওলজিস্ট এবং গুহা বিশেষজ্ঞ পর্যবেক্ষণ করছিলেন। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের কেউই তার সঙ্গে যোগাযোগ করেননি।

বিট্রিজ ফ্লামিনি যখন ওই গুহায় ঢুকেছিলেন তখন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হয়নি। এমনকি বিশ্ব তখনো করোনা মহামারির কবলে ছিল। গুহা থেকে তিনি বের হয়ে বলেন, ‘আমি বিশ্বের কোনো কিছুই জানি না। আমি ২০২১ সালের ২১ নভেম্বর থেকে গুহায় আটকে রয়েছি।’ তার এই অভিজ্ঞতাকে চমৎকার এবং অপরাজেয় হিসেবে র্ব্ণনা করেন। তিনি বলেন, আমি দেড় বছরের বেশি সময় ধরে কারো সঙ্গে কথা বলিনি, শুধু নিজের সঙ্গে কথা বলেছি।

তিনি বলেন, ‘আমি আমার ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছি। আমি অনেক দিন পানি স্পর্শ করিনি, আমাকে গোসল করতে দেন। তারপর আমি আপনাদের সঙ্গে দেখা করব।’ সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্প্যানিশ এই নারী বলেন, গুহায় প্রবেশের প্রায় দুই মাস পর তিনি সময়ের হিসাব হারিয়ে ফেলেছিলেন।

তিনি আরো বলেন, ‘সেখানে এমন একটি মুহূর্ত ছিল, যখন আমি দিন গণনা বন্ধ করে দিয়েছিলাম। ১৬০ থেকে ১৭০ দিনের মতো তিনি গুহায় ছিলেন বলে এখন তার মনে হচ্ছে।’ গুহায় সবচেয়ে কঠিন এক মুহূর্ত তৈরি হয়েছিল, যখন গুহার ভেতরে মাছির আক্রমণ ঘটেছিল। মাছিতে পুরো শরীর ঢেকে যায়। এর আগে সবচেয়ে গভীর ভূগর্ভে দীর্ঘ সময় কাটানোর রেকর্ড ছিল চিলি ও বলিভিয়ার ৩৩ খনি শ্রমিকের। ২০১০ সালে চিলিতে সোনার খনি ধসের পর দুই হাজার ২৫৭ ফুট গভীরে ৬৯ দিন আটকা ছিলেন তারা। পরে তাদের জীবিত উদ্ধার করা হয়।

শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ