দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার উত্তরাঞ্চলের অনাহারে মারা যাচ্ছে শিশুরা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়াসুস এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর বিবিসির। গত রোববার (৩ মার্চ) উত্তর গাজায় যাওয়ার সুযোগ পেয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তারা। আল-আওদা ও কামাল আদওয়ান হাসপাতাল পরির্দশন করে সেখানে ‘ভয়াবহ পরিস্থিতি’ দেখেছেন বলে জানিয়েছেন ডব্লিউএইচও প্রধান।
সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে পরিদর্শনে তিনি যা দেখেছেন তুলে ধরেছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান লিখেছেন, খাবারের অভাবে ১০টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে আর সেখানে ‘গুরুতর পর্যায়ের অপুষ্টি’ বিরাজমান, হাসপাতাল ভবনগুলো ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে।
তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, গাজার উত্তরাংশে আরও নিয়মিত যাওয়ার সুযোগ পাওয়ার চেষ্টা সত্ত্বেও পাঁচ মাসের মধ্যে এই প্রথম ডব্লিউএইচও সেখানে যেতে পারল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, উত্তর গাজার শিশুরা মারাত্মক অপুষ্টির শিকার হচ্ছে, অনাহারে মারা যাচ্ছে, জ্বালানি, খাদ্য ও চিকিৎসা সরবরাহের গুরুতর ঘাটতি, হাসপাতাল ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে। সেখানে প্রায় তিন লাখ মানুষ সামান্য খাদ্য এবং পানি পাচ্ছে।
এর আগে জাতিসংঘ গত সপ্তাহে বলেছিল, গাজায় দুর্ভিক্ষ ‘প্রায় অনিবার্য’। গত রোববার গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, উপত্যকার কামাল আদওয়ান হাসপাতালে অপুষ্টি ও পানিশূন্যতার কারণে অন্তত ১৫ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ শহরের একটি হাসপাতালে রোববার আরও এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
জাতিসংঘের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, গাজা উপত্যকাজুড়ে অন্তত ৫ লাখ ৭৬ হাজার মানুষ, যা ভূখণ্ডটির মোট জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশ বিপর্যয়কর মাত্রার খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সম্মুখীন হয়েছেন। এছাড়া গাজার উত্তরাঞ্চলে দুই বছরের কম বয়সী প্রতি ছয়জন শিশুর মধ্যে একজন তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে বলেও জানান জাতিসংঘের ওই কর্মকর্তা। গাজায় গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ইতিমধ্যে ৩০ হাজার ৫০০ ছাড়িয়ে গেছে। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।