দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : কঙ্গোর রাজধানী কিনশাসায় রাতভর প্রবল বর্ষণে সৃষ্ট ব্যাপক বন্যায় মঙ্গলবার ১২০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। বিগত কয়েক বছরের মধ্যে সেখান এমন দুর্যোগ হতে দেখা যায়নি। কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে। বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) এএফপির বরাত দিয়ে বাসস জানায়, প্রায় দেড় কোটি জনসংখ্যার নগরী কিনশাসার কেন্দ্রস্থলের প্রধান সড়কগুলো কয়েক ঘণ্টা ধরে পানিতে নিমজ্জিত ছিল এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি সরবরাহ রুট বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। রাত নাগাদ মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১২০ জন ছাড়িয়ে গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছিল বিকেল নাগাদ এ সংখ্যা বেড়ে ৫৫ জনে দাঁড়াতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী জিন-মিশেল সামা লুকোন্নেডর দপ্তর থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, বন্যায় প্রাণহানির ঘটনায় সরকার বুধবার থেকে তিন দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেছে। নগরীর পুলিশ প্রধান জেনারেল সিলভানো কাসোঙ্গো গণমাধ্যমকে বলেন, নিহতদের বেশির ভাগই পাহাড়ি এলাকার বাসিন্দা। সেখানে ভূমিধসের ঘটনায় তাদের এমন পরিণতি হয়।
ডিআর কঙ্গোর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, এন১ হাইওয়ে ৩-৪ দিনের জন্য বন্ধ থাকতে পারে। রয়টার্স বলছে, রাজধানী কিনশাসায় ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে নিহতের সংখ্যার হিসাব রাখছে দেশটির জেনারেল ম্যানেজমেন্ট অব মাইগ্রেশন। এটি আফ্রিকার এই দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি অংশ।
দুর্বল নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আর দ্রুত নগরায়নের বিকাশ ঘটায় ভারী বৃষ্টিপাতের পর আকস্মিক বন্যার জন্য ক্রমবর্ধমান ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে কিনশাসা। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে দেশটিতে প্রায় ভারী বর্ষণ আর বন্যা দেখা যায়। এর আগে, ২০১৯ সালে কিনশাসায় মুষলধারে বর্ষণের কারণে সেখানকার নিম্নাঞ্চলের কিছু জেলায় ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়। ওই সময় বন্যায় অন্তত ৩৯ জনের প্রাণহানি এবং অনেক বাড়িঘর ও সড়ক ধসে যায়।