দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : কম্বোডিয়ার বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপে এবং কিছু বিদেশি সহায়তা কর্মসূচি স্থগিত করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এক তরফা নির্বাচন করায় দক্ষিণ-পূর্ব কম্বোডিয়ার বিরুদ্ধে এমন সিন্ধান্ত নিল যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় রবিবার দেশটিতে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই দিনই দেশটির বিরুদ্ধে মার্কিন এই পদক্ষেপের ঘোষণা আসে।স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক বিবৃতিতে বলেছেন,‘ওয়াশিংটন চিন্তত, কারণ এটি অবাধ বা সুষ্ঠু ছিল না। এই নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের সিপিপি দল কোনো কার্যকর প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হয়নি।’
মিলার বলেন, ‘নির্বাচনের আগে কম্বোডিয়ার কর্তৃপক্ষ রাজনৈতিক বিরোধী, মিডিয়া এবং সুশীল সমাজের বিরুদ্ধে হুমকি ও হয়রানি করার সঙ্গে জড়িত ছিল। যা দেশের সংবিধানের চেতনা এবং কম্বোডিয়ার আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতাকে ক্ষুণ্ন করেছে। তিনি যোগ আরো যোগ করে বলেছেন, ‘ এই কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এমন ব্যক্তিদের ওপর ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করার পদক্ষেপ নিয়েছে, যারা গণতন্ত্রকে ক্ষুন্ন করেছে। সেই সঙ্গে কিছু বিদেশি সহায়তা কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। বিতর্কিত ওই নির্বাচনে ৮১ লাখ ভোটার ভোট দিয়েছেন বলে দেশটির নির্বাচন কমিটি জানিয়েছে। নির্বাচন কমিটির মতে, রবিবারের নির্বাচনে ভোট পড়ার হার ছিল ৮৪ শতাংশ।
চলতি বছরের মে মাসে ‘কাগজে ত্রুটি থাকার’ অভিযোগে সিপিপির একমাত্র প্রতিপক্ষ ক্যান্ডেললাইট পার্টিকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়। ফলে সাধারণ নির্বাচনে কোনও শক্তিশালী প্রতিপক্ষ ছিল না। কম্বোডিয়ায় সাধারণ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন কম্বোডিয়ান পিপলস পার্টি (সিপিপি) একতরফা জয়ের দাবি করার পর যুক্তরাষ্ট্র এই পদক্ষেপের ঘোষণা দিল। ক্ষমতাসীন কম্বোডিয়ান পিপলস পার্টির (সিপিপি) নেতা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী হুন সেন। বিগত ৩৮ বছর ধরে ৭০ বছর বয়সী হুন সেন কম্বোডিয়ার ক্ষমতায় আছেন। তবে নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে পশ্চিমাদের উদ্বেগকে পাত্তাই দেননি প্রধানমন্ত্রী হুন সেন। নির্বাচনে জয়ী হলে তার বড় ছেলে হুন মানেটের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি।