দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : যুক্তরাজ্যের ৫৭তম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন কনজারভেটিভ পার্টির নেতা ঋষি সুনাক। তিনি ব্রিটেনের চলতি বছর দায়িত্ব নেওয়া তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী। ৪২ বছর বয়সী ঋষি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগা স্বাভাবিক কে এই ঋষি?
যশবীর এবং ঊষা সুনাকের কোল আলোকিত করে ১২ মে ১৯৮০ সালে ইংল্যান্ডের সাউদাম্পটন শহরে জন্ম নেন ঋষি। তিন ভাইবোনের মধ্যে ঋষি বড়। সুনাকের বাবা যশবীর ও মা ঊষা – দুজনেরই জন্ম ভারতের পাঞ্জাবে, ভালো কাজের সুযোগে ও পড়াশুনোর জন্য তারা বিদেশে পাড়ি দিয়েছিলেন। যশবীর সুনাক ব্রিটেনে একজন জিপি (জেনারেল প্র্যাকটিশনার) ডাক্তার হিসেবে ও ঊষা সুনাক ফার্মাসিস্ট হিসেবে কাজ করতেন।
ঋষি সুনাক যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শন রাজনীতি ও অর্থনীতি বিভাগ থেকে স্নাতক এবং যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে ফুলব্রাইট স্কলার হিসেবে ব্যবসায় প্রশাসনে স্নাতকোত্তর (এমবিএ) করেন। পরে ২০০১ থেকে ২০০৪ পর্যন্ত বিখ্যাত গোল্ডম্যান স্যাক্সে বিশ্লেষক হিসেবে কাজ করেন। পরে তিনি হেজ ফান্ড ব্যবস্থাপক হিসেবেও কাজ করেন।
ঋষি সুনাক ২০১৫ সালে ইয়র্কশায়ারের রিচমন্ড আসন থেকে প্রথমবারের মতো পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হন। থেরেসা মে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। আর ২০১৯ সালে বরিস জনসন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তাঁর গুরুত্ব আরও বেড়ে যায়। সরাসরি পান অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব। বর্তমানে ব্রিটিশ কনজারভেটিভ পার্টিতেও জনপ্রিয় মুখ সুনাক। তরুণ প্রজন্মের নেতা হিসেবে সাধারণ মানুষের মধ্যে তার যথেষ্ট গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে সুনাকের।
জনসনের সরে যাওয়ার ঘোষণায় ঋষি সুনাককে এগিয়ে রেখে শিরোনাম করেছে ব্রিটেনের অধিকাংশ জাতীয় সাংবাদমাধ্যম। দ্য ডেইলি এক্সপ্রেসে জানিয়েছে, বরিস জনসন ডাউনিং স্ট্রিট ১০- এর দৌড় থেকে সরে দাঁড়ানোয় প্রধামন্ত্রীর মুকুট পাচ্ছেন ঋষি। আর দ্য সানে এসেছে, জনবিশৃঙ্খলা এড়াতে জনসন না দাঁড়ানোয় পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী ঋষি। ভারতীয় বংশোদ্ভূত রিষিকে নিয়ে আশার খবর শুনিয়েছে দ্য ডেইলি মিররও।
যুক্তরাজ্যে পার্লামেন্টে মোট ৩৫৭ জন কনজারভেটিভ আইনপ্রণেতা রয়েছেন। তাদের ১৪২ জন ইতিমধ্যে ভারতীয় বংশোদ্ভূত সুনাককে সমর্থনের কথা জানিয়েছেন। রবিবার রাত পর্যন্ত ২৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বী পেনিকে সমর্থনের কথা বলেছেন। ফলে পেনিকে এখনও ৭৬ জন এমপি’র সমর্থন আদায় করতে হবে। পার্লামেন্টে ভোটাভুটির মাধ্যমে শিগগিরই জানা যাচ্ছে, যুক্তরাজ্যের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে হচ্ছেন।