দেশ-বিদেশ নিউজ ডেস্ক : মাদক পাচারকারীদের সংঘটিত সহিংসতার ঢেউয়ের কবলে থাকা ইকুয়েডরের বন্দর শহর গুয়াকিলে সোমবার একটি দৃশ্যত গ্যাং বন্দুকযুদ্ধে ছয়জন নিহত ও ছয়জন আহত হয়েছে। দেশটির পুলিশ এ তথ্য জানিয়েছে। পুলিশ কর্নেল মার্সেলো কাস্তিলো এএফপিকে বলেছেন, এটি জুন মাসে গুয়াকিলের দ্বিতীয় গোলাগুলির ঘটনা, যা প্রতিদ্বন্দ্বী গ্যাংদের মধ্যেপুরনো সমস্যার মীমাংসা বলে মনে হচ্ছে। আহত ছয়জনের অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানান তিনি।
কাস্তিলো বলেন, হামলাকারীরা সোমবার ভোরে জনবহুল এলাকায় একটি কালো গাড়িতে করে আসে। ‘চার বা পাঁচজন বেরিয়ে পড়ে’ এবং রাস্তায় বেশ কয়েকজনের ওপর গুলি চালায়। তিনি আরো বলেন, এটি আগের সহিংসতার জন্য বিশুদ্ধ প্রতিশোধ। তারা করুণা ছাড়াই একে অপরকে হত্যা করে।
দুই সপ্তাহ আগে দক্ষিণ আমেরিকার দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় গুয়াকিলে একটি বাড়িতে তিনজন লোক গুলি চালালে এক পুলিশ সদস্যসহ পাঁচজন নিহত এবং আটজন আহত হন। ইকুয়েডরে এ ধরনের আক্রমণ, বিশেষ করে গুয়াকিলে ক্রমেই বাড়ছে। কারণ প্রতিদ্বন্দ্বী গ্যাংরা বাজার ও মাদক পাচারের পথের জন্য রাস্তায় ও কারাগারে লড়াই করে।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ইকুয়েডরের কারাগারে প্রতিদ্বন্দ্বী অপরাধী গোষ্ঠীর মধ্যে ভয়ংকর লড়াইয়ে ৪২০ জনেরও বেশি বন্দি মারা গেছে, কিছু লোকের শিরশ্ছেদও করা হয়েছে।
ইকুয়েডরের দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলে অবস্থিত গুয়াকিল হলো দেশটির বৃহত্তম শহর, বৃহত্তম বন্দর ও অর্থনৈতিক কেন্দ্র। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে একটি টার্ফ যুদ্ধের ক্রমবর্ধমান রক্তাক্ত কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। বন্দর শহরের অবস্থানের কারণে সেটি যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে মাদকের চালানের জন্য একটি কৌশলগত লঞ্চ পয়েন্ট হয়ে উঠেছে। দেশটি কলম্বিয়া ও পেরুর মধ্যে অবস্থিত, বিশ্বের শীর্ষ কোকেন উৎপাদকও। এ ছাড়াও দেশটি মাদক পাচারচক্রের জন্য সুবিধাজনক, তারা মার্কিন ডলারকে তাদের মুদ্রা হিসেবে ব্যবহার করে।