আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউক্রেনকে সামরিক ও অর্থনৈতিক সহায়তা অব্যাহত রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্ররা। সর্বশেষ তাদের উদ্যোগে যোগ হয়েছে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য ইউক্রেনকে জঙ্গিবিমান সরবরাহ করা। এসবের মধ্য দিয়ে রাশিয়াকে কোণঠাসা করার সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পশ্চিমা দেশগুলো।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি গত শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস সদস্যদের সঙ্গে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে তাদের যুদ্ধবিমান দেওয়ার অনুরোধ জানান। পরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ফোনালাপে একই অনুরোধ জানান তিনি। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ইউক্রেনকে সোভিয়েত আমলের জঙ্গিবিমান সরবরাহের উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানানো হয়। সীমান্তবর্তী দেশ ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমান সরবরাহ করবে পোল্যান্ড।
রাশিয়ার বিভিন্ন ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন-ঘনিষ্ঠ ধনকুবেরদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে থাকা তাদের নাগরিকদের সম্পদ জব্দ করা হচ্ছে। এখন হুমকিতে পড়েছেন দেশটির অভিজাত ধনকুবেররা। আর্থিক লেনদেনের বৈশ্বিক ব্যবস্থা সুইফট থেকে রাশিয়ার কয়েকটি ব্যাংককে বাদ দেওয়া হয়েছে। মাইক্রোসফট, স্যামসাংসহ বিভিন্ন প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান রাশিয়া থেকে কার্যক্রম গুটিয়ে নিয়েছে। সর্বশেষ গতকাল রোববার স্বয়ংক্রিয় লেনদেন-ব্যবস্থা ভিসা ও মাস্টার কার্ড রাশিয়ায় তাদের কার্যক্রম বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে।
পশ্চিমাদের হুমকি ও বৈরিতা সত্ত্বেও ইউক্রেনে অভিযান চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন।
গতকাল রবিবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে টেলিফোন আলাপে তিনি বলেছেন- কেবল ইউক্রেন লড়াই বন্ধ করলে এবং মস্কোর দাবিগুলো মেনে নিলেই রাশিয়া সামরিক অভিযান বন্ধ করবে।